আগামী তিন বছরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৬০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের
পরিকল্পনা করেছে মেটা। এই বিপুল অর্থ ব্যয় করা হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিনির্ভর ডেটা সেন্টার নির্মাণ এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য।
মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জুকারবার্গ সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এক নৈশভোজে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক বিনিয়োগে যাচ্ছি যাতে ভবিষ্যতের প্রযুক্তিগত চাহিদা পূরণে আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকতে পারি।”
এরই মধ্যে মেটা বিভিন্ন রাজ্যে নতুন ডেটা সেন্টারের কাজ শুরু করেছে। টেক্সাসে ১.৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে একটি আধুনিক ডেটা সেন্টার নির্মিত হবে, যা প্রতিষ্ঠানটির ২৯তম বৈশ্বিক কেন্দ্র হিসেবে যুক্ত হবে। অন্যদিকে, লুইজিয়ানায় বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মেটা ব্লু আউল ক্যাপিটালের সঙ্গে ২৭ বিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন চুক্তিও করেছে।
এই বিনিয়োগের ফলে মেটার মূলধন ব্যয় আগামী বছরগুলোতে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জুকারবার্গ বলেন, “আমরা আমাদের কম্পিউটিং ক্ষমতা আগে থেকেই বৃদ্ধি করছি, যাতে ভবিষ্যতের উন্নত প্রযুক্তির জন্য প্রস্তুত থাকতে পারি।”
বিশ্লেষকদের মতে, মেটার এই উদ্যোগ বৈশ্বিক এআই প্রতিযোগিতায় কোম্পানিটিকে আরও শক্ত অবস্থানে রাখবে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে প্রযুক্তি খাতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, মেটা এখন কেবল সামাজিক যোগাযোগের প্ল্যাটফর্ম নয়— প্রতিষ্ঠানটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ডিজিটাল অবকাঠামোয় বিনিয়োগের মাধ্যমে ভবিষ্যতের প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতিতে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা নিতে চাচ্ছে। এই বিনিয়োগ কোম্পানির উদ্ভাবনী সক্ষমতা এবং বাজারে প্রভাব আরও শক্তিশালী করবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: