[email protected] মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
২৭ কার্তিক ১৪৩২

এআই নিয়ে চাপে মেটা

প্রতিদিনের বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ৪ নভেম্বর ২০২৫ ৮:০৩ এএম

বিশ্বজুড়ে এখন আলোচনার কেন্দ্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই। গুগল, ওপেনএআই ও এনভিডিয়ার মতো প্রযুক্তি জায়ান্টরা এ খাতে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় রয়েছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মূল প্রতিষ্ঠান মেটাও এই দৌড়ে পিছিয়ে নেই। বরং এআই উন্নয়নে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ করছে তারা। তবে এই বড় বাজিই এখন মেটার জন্য কিছুটা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মার্ক জুকারবার্গের নেতৃত্বাধীন মেটা যুক্তরাষ্ট্রে দুটি বিশাল ডেটা সেন্টার নির্মাণ করছে, যা এআই অবকাঠামো তৈরির অংশ। আগামী তিন বছরে শুধুমাত্র এই খাতেই প্রায় ৬০০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করার পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। সাম্প্রতিক ত্রৈমাসিক আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত বছরের তুলনায় মেটার অপারেটিং খরচ বেড়েছে সাত বিলিয়ন ডলার এবং মূলধনী ব্যয় বেড়েছে প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার।

জুকারবার্গ জানান, এই ব্যয় ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ। তার ভাষায়, “আমরা এমন এক অবস্থানে পৌঁছাতে চাই, যেখানে মেটার নিজস্ব শক্তিশালী এআই মডেল থাকবে, যা অন্য কোথাও নেই।”

তবে বিনিয়োগকারীরা এই ব্যাখ্যায় আশ্বস্ত হননি। প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই মেটার শেয়ারের দাম দ্রুত কমে যায়, মাত্র দুই দিনেই বাজারমূল্য প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলার হ্রাস পায়।

বিশ্লেষকদের মতে, বিপুল অর্থ ব্যয়ের পরও এখন পর্যন্ত মেটা কোনো সফল এআই পণ্য বাজারে আনতে পারেনি। গুগল বা ওপেনএআইয়ের মতো তাদের কোনো বাণিজ্যিক সাফল্যও নেই, যা আয় বাড়াতে পারে।

বর্তমানে মেটার সবচেয়ে আলোচিত এআই পণ্য হলো মেটা এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট, যা এক বিলিয়নের বেশি মানুষ ব্যবহার করছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি এখনো চ্যাটজিপিটির মতো সক্ষম নয়; এর জনপ্রিয়তা মূলত ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের বিশাল ব্যবহারকারীভিত্তির ওপর নির্ভরশীল।

জুকারবার্গ জানিয়েছেন, তাদের গবেষণাগারে তৈরি নতুন মডেলগুলো ভবিষ্যতে বড় পরিবর্তন আনবে, যদিও এর বাজারে আসার নির্দিষ্ট সময়সীমা তিনি জানাননি।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, মেটা এখন এক সন্ধিক্ষণে রয়েছে—প্রতিষ্ঠানটি বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করছে, কিন্তু এখনো স্পষ্ট নয় এআইকে তারা কোন খাতে ব্যবহার করবে—বিজ্ঞাপন, ব্যবসায়িক সেবা নাকি ভোক্তা প্রযুক্তিতে।

সংক্ষেপে বলতে গেলে, মেটা ভবিষ্যতের এআই দুনিয়ায় বড় বাজি ধরেছে, তবে সেই ভবিষ্যৎ ঠিক কবে বাস্তব হবে, তা এখনো অনিশ্চিত।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর