editor.protidinerbangla@gmail.com মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
২ আশ্বিন ১৪৩১

এআই মানুষের বিকল্প নয়, বরং সহায়ক

প্রতিদিনের বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪ মে ২০২৪ ১১:৪৮ এএম

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই বিকল্প নয়, বরং মানুষের সহায়ক হবে। সম্প্রতি কেমব্রিজশায়ারের এক সংস্থার প্রতিবেদনে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। তারা বলছে, এআইকে মানুষের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার না করে বরং এর মাধ্যমে কায়িক শ্রম দেন এমন কর্মীদের কর্মজীবন আরও বাড়ানো সম্ভব।

চাকরিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর প্রভাব নিয়ে বিতর্ক বেড়েই চলেছে। ইনস্টিটিউট অব পাবলিক পলিসি রিসার্চ -আইপিপিআর বলছে, এআই- এর কারণে যুক্তরাজ্যে ৮০ লাখের মতো কর্মী তাদের চাকরি হারাতে পারেন। কারণ এই প্রযুক্তি মানুষের কাজগুলো খুব সহজেই করতে পারে।

তবে কেমব্রিজশায়ারের একটি সংস্থা বলছে একদমই ভিন্ন কথা। তারা বলছে, এআই মানুষের বিকল্প নয় বরং এআই ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের নিত্যদিনের কাজগুলো হয়ে উঠতে পারে আরও বেশি সহজ। এআইকে অনেক সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত। কারণ এই মুহূর্তে, এটা এখনো সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়নি।

প্রতিষ্ঠানটি আরও মনে করে, এআই-এর ব্যবহার এখন সীমিত করা উচিত। এটি শুধুমাত্র শারীরিক উপায়ে মানুষকে সাহায্য করার জন্য একে ব্যবহার করা যেতে পারে। পেশী শক্তি ব্যবহার করে মানুষ যেসব কাজ করতে করে, এআই খুব সহজেই সেসব কাজ করে ফেলতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার শ্রমিকদের শারীরিক ক্ষতির ঝুঁকি এড়াতে সাহায্য করবে।

একজন মেকানিকের কাজ মানবদেহের জন্য অনেক কঠিন। এই ধরনের কাজ করার ফলে মানুষের পেশী ও হাড়ে সমস্যা দেখা দিতে পারে। ২০২২-২৩ সালে এ ধরনের সমস্যায় ভুগেছেন যুক্তরাজ্যের ৪ লাখ ৭৩ হাজার কর্মী। তাই কিছু মানুষ তাদের পছন্দের চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে।

তবে এই সমস্যারোধে কিম্বল্টনের জার্মান অটোওয়ার্কস এআই এর ব্যবহার শুরু করেছে। তারা মানুষের দৈনন্দিন কাজগুলো করার সময় টেকনিশিয়ানদের ছবি ও ফুটেজ নেন। তারপর এআই সেগুলো বিশ্লেষণ করে এবং শরীরের চাপের পয়েন্ট এবং সম্ভাব্য সমস্যার ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে।

পরবর্তীতে এআই থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে কর্মীদের জন্য এক্সোস্কেলেটন বা বিশেষ এক ধরনের পোশাক তৈরি করা হবে যা কাজের সময় কর্মীদের শারীরিক চাপ কিছুটা কমাতে সাহায্য করবে।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর