আমেরিকান মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) কে সবচেয়ে মূল্যবান
খেলোয়াড় হবেন—এ নিয়ে তেমন কোনো অনিশ্চয়তা ছিল না। প্রত্যাশামতোই এবারও শীর্ষ স্বীকৃতি উঠেছে আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসির হাতে। টানা দুই মৌসুমে এমএলএসের মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার (এমভিপি) পুরস্কার জেতা তিনি-ই প্রথম ফুটবলার। এর আগে দু’বার এমভিপি হলেও তা টানা মৌসুমে হয়নি—সেই কৃতিত্ব ছিল কেবল প্রিড্রাগ রাদোসাভলজেভিচের (১৯৯৭ ও ২০০৩)।
তিন দিন আগেই মেসি ইন্টার মায়ামিকে প্রথমবারের মতো এমএলএস কাপ শিরোপা এনে দিয়েছেন। ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপসকে ৩-১ গোলে হারানো সেই ফাইনালে তিনি গোল না করলেও দুটি অ্যাসিস্ট করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। এর আগে মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে গোল্ডেন বুটও জিতেছেন তিনি।
মায়ামির হয়ে ৩৪ ম্যাচে মেসির গোল ৩৫টি এবং অ্যাসিস্ট ২৮টি—মোট ১০১ গোলের মধ্যে ৬৩টিতেই সরাসরি অবদান রেখেছেন বিশ্বকাপজয়ী এ আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। ২০২৩ সালে ক্লাবে যোগ দেওয়ার পর থেকে নতুন দলটিকে ঘুরে দাঁড় করানোর সফল চ্যালেঞ্জটিও তাকে দারুণ তৃপ্ত করেছে। মেসির ভাষায়, “নতুন ক্লাবকে শীর্ষে তোলা সহজ ছিল না। এবারের লক্ষ্য ছিল এমএলএস কাপ জেতা, আর সেটা আমরা অর্জন করেছি। নানা প্রতিযোগিতা ও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের মধ্যেও দলটা অসাধারণ ছিল।”
সম্প্রতি ইন্টার মায়ামির সঙ্গে ২০২৮ সাল পর্যন্ত চুক্তি বাড়িয়েছেন তিনি, যদিও বয়স ও ম্যাচের চাপ বিবেচনায় কিছুটা সংশয় ছিল শুরুতে। তারপরও পুরস্কারের ভোটে মেসি পেয়েছেন ৭০ শতাংশের বেশি সমর্থন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সান দিয়েগোর অ্যান্ডার্স দ্রেয়ার পেয়েছেন মাত্র ১১ শতাংশ ভোট।
ক্যারিয়ারের অর্জনের দিক থেকেও মেসি অপ্রতিরোধ্য। ২০২২ বিশ্বকাপ জয়ের পর তার মোট ট্রফি সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৮টি—যা ফুটবল ইতিহাসের সর্বোচ্চ। ব্যক্তিগত পুরস্কারের তালিকায়ও তিনি শীর্ষে:
৮ বার ব্যালন ডি’অর,
৩ বার ফিফা বেস্ট মেন্স প্লেয়ার,
২ বার বিশ্বকাপ গোল্ডেন বল,
৩ বার উয়েফা বর্ষসেরা,
৬ বার ইউরোপিয়ান গোল্ডেন সু,
৮টি পিচিচি ট্রফি,
এবং ১৫ বার আর্জেন্টিনার বর্ষসেরা ফুটবলার।
সবশেষে, ৩৮ বছর বয়সী এ ফুটবল জাদুকর ২০২৬ বিশ্বকাপেও আর্জেন্টিনার হয়ে খেলতে পারেন বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: