বাংলাদেশের কুস্তি দলের অংশগ্রহণ ইসলামিক সলিডারিটি
গেমসে বিতর্কের মুখে পড়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ কন্টিনজেন্ট অংশ নিয়েছিল এশিয়ান ইয়ুথ গেমস (বাহরাইন) এবং ইসলামিক সলিডারিটি গেমস (সৌদি আরবের রিয়াদ)। বাহরাইনে কোনো বড় সমস্যা না হলেও রিয়াদে অনুষ্ঠিত গেমসে নারী ৬৮ কেজি ওজন শ্রেণীর ব্রোঞ্জ পদক লড়াইয়ে বাংলাদেশের কুস্তি খেলোয়াড় হালিমা আক্তার অনুপস্থিত থাকায় ওয়াকওভার হয়ে গেছে।
ঘটনা
২০ নভেম্বর হালিমা আক্তারের ব্রোঞ্জ ম্যাচ ছিল।
হালিমা অনুপস্থিত থাকায় আজারবাইজানের নিগার মিরজাজাদে জয়ী হন।
বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের শেফ দ্য মিশন সেলিম ফকির, কুস্তি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও দলের ম্যানেজার মেজবাহ উদ্দিন আজাদ-কে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন।
এই ব্যাখ্যা ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে দিতে হবে।
দায় ও দায়িত্ব
কুস্তিতে দুইজন নারী খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করেছেন।
সাধারণ সম্পাদক নিজেই কোচ ও ম্যানেজার পদে দায়িত্বে ছিলেন।
ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, নারী খেলোয়াড়ের সঙ্গে নারী ম্যানেজার বা টেকনিক্যাল কর্মকর্তা থাকা জরুরি। ভবিষ্যতে অলিম্পিক এসোসিয়েশনকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
গুরুত্ব
গেমস শুধু জয়-পরাজয় নয়, শৃঙ্খলা ও সম্মানের প্রতিও মনোযোগী হতে হয়।
শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতি হতে পারে।
শেফ দ্য মিশনের সাধারণ রীতি অনুযায়ী তিনি সবার আগে গেমসে যেতেন এবং সবার পরে ফিরে আসতেন। তবে এবার সেলিম ফকির ১৫ নভেম্বর দেশে ফিরে গেছেন, অথচ বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ২০ নভেম্বর পর্যন্ত চলেছিল।
ক্রীড়া প্রশাসনের মন্তব্য
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সেলিম ফকির স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অংশগ্রহণের সময় শৃঙ্খলা ও দায়িত্ব পালন অত্যন্ত জরুরি, যাকে ঠিকভাবে মানা হয়নি।
এসআর
মন্তব্য করুন: