[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

বিওএ নির্বাচনের আগেই বিতর্ক: জোবায়েদ–ইমরোজকে নিয়ে প্রশ্ন

ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২৫ ৮:৪০ পিএম

বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) নির্বাচনের আর মাত্র পাঁচ দিন বাকি। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। অলিম্পিকভুক্ত ফেডারেশনের কোটায় দু’টি উপমহাসচিব পদ ছাড়া বাকি সব পদেই প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে।

এমন অবস্থায় নির্বাচনকে ঘিরে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জারি করা এক চিঠিতে বিওএর মহাসচিব পদে একমাত্র প্রার্থী জোবায়েদুর রহমান রানা এবং সহসভাপতি পদে একমাত্র প্রার্থী মেজর (অব.) ইমরোজ আহমেদের বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ তোলা হয়েছে।

সার্চ কমিটির সদস্য হওয়ায় প্রশ্ন তুলেছে এনএসসি। এনএসসি চিঠিতে উল্লেখ করেছে, দেশের ক্রীড়া প্রশাসনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে গত বছর অক্টোবরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ৫ সদস্যের একটি সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ৪৯টি জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।

এই সার্চ কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন মোঃ জোবায়েদুর রহমান রানা এবং অন্যতম সদস্য ছিলেন মেজর (অব.) ইমরোজ আহমেদ। বর্তমান বিওএ নির্বাচনে সভাপতির কোটায় সহসভাপতি পদে মনোনীত হয়েছেন ইমরোজ আহমেদ, আর মহাসচিব পদে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন জোবায়েদুর রহমান রানা।

 

৫০ জন কাউন্সিলরের মধ্যেও তাঁদের ভূমিকার সংশ্লিষ্টতা। বিওএ কাউন্সিলর তালিকায় সার্চ কমিটির সুপারিশে গঠিত ২৫টি অ্যাডহক ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে ৫০ জন প্রতিনিধি রয়েছেন। এ ছাড়াও মহিলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে ২ জন এবং আরও তিনটি আলাদা ফেডারেশন থেকে ৩ জন কাউন্সিলর যুক্ত হয়ে মোট সদস্য সংখ্যা এখন ৫৫।

এনএসসির মতে, এই সার্চ কমিটির মাধ্যমে যেসব কাউন্সিলর বিওএ নির্বাচনে ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন, তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জোবায়েদুর রহমান রানা ও ইমরোজ আহমেদের সরাসরি সম্পৃক্ততা ছিল। ফলে তাঁদের প্রার্থী হওয়া স্পষ্ট স্বার্থের সংঘাতের (Conflict of Interest) পরিস্থিতি তৈরি করে।

সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ নির্বাচন কমিশনকে। এ বিষয়ে যথাযথ ও সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন এনএসসির পরিচালক (ক্রীড়া) মোহাম্মদ আমিনুল এহসান।

এখন নির্বাচন কমিশন কী সিদ্ধান্ত নেয়—তা-ই দেখার অপেক্ষা।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর