দ্বিতীয় নারী কাবাডি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে অনুষ্ঠিত হলো ২০১২ সালের প্রথম বিশ্বকাপের ফাইনালের পুনর্ম্যাচ। সেই ম্যাচের মতোই এদিনও আধিপত্য দেখাল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত। রোমাঞ্চে ভরা লড়াইয়ে ইরানকে ৩৩-২১ পয়েন্টে হারিয়ে স্বাগতিক ঢাকায় অনুষ্ঠিত ফাইনালে জায়গা করে নিল ভারতীয় নারী দল।
২০১২ সালে পাটনায় অনুষ্ঠিত প্রথম নারী কাবাডি বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত ২৫-১৯ পয়েন্টে হারিয়েছিল ইরানকে। দীর্ঘ ১৩ বছর পর সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার ধারাবাহিকতা দেখা গেল মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে। রোববার (২৩ নভেম্বর) দিনের প্রথম সেমিফাইনালে প্রথম রেইডেই ব্যর্থ হয় ইরান। বিপরীতে ভারত প্রথম দুই রেইড থেকেই পয়েন্ট তুলে নেয়। ইরানের রিভিউ আবেদনও ব্যর্থ হলে ব্যবধান শুরুতেই বাড়তে থাকে। চতুর্থ মিনিটে এসে প্রথম পয়েন্টের দেখা পায় ইরান। তখন স্কোর ৩-১। এরপর দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে অষ্টম মিনিটে ৫-৫ সমতায় ফেরে মধ্যপ্রাচ্যের দলটি।
অর্ধের শেষ দিকে কৌশলগত পরিবর্তন আনে ইরান। রেইডে পয়েন্ট আদায়ের চেয়ে ভারতকে অলআউট করার দিকে মনোযোগী হয় তারা। কিন্তু লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়। ১৫-১০ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে ভারত।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দুই দলই বেশ সাবধানী খেলতে থাকে। এ অর্ধে ভারতের সাঞ্জু দেবিকে সফলভাবে আটকে প্রথম পয়েন্ট তুলে নেয় ইরান। তবে দ্রুতই ব্যবধান আবার বাড়িয়ে নেয় ভারত—এশিয়ান গেমসে তিনটি স্বর্ণজয়ী দলটি ৫ পয়েন্টের লিড নিয়ে ম্যাচকে নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর ধাপে ধাপে ইরানকে চাপে ফেলে ভারত। দ্বিতীয়ার্ধের নবম মিনিটে ইরানকে অলআউট করে ২৭-১৭ পয়েন্টে এগিয়ে যায় চ্যাম্পিয়নরা।
শেষ দিকে যদিও যথাসাধ্য লড়াই করে জাহরা ও ফাতেমেহরা, কিন্তু টেকনিক ও অভিজ্ঞতায় এগিয়ে থাকা ঋতু-পূজাদের ভারতকে ফাইনালে ওঠা আটকাতে পারেনি ইরান। শেষ পর্যন্ত ৩৩-২১ পয়েন্টে জিতে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে জায়গা করে নেয় ভারত।
গত আসরে রুপাজয়ী ইরানকে এবারও সন্তুষ্ট থাকতে হয় ব্রোঞ্জ পদক নিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করার মধ্য দিয়ে।
এসআর
মন্তব্য করুন: