বাংলাদেশ ক্রিকেটের দীর্ঘতম সময় ধরে দায়িত্ব পালন করা
ক্রিকেটারদের একজন মুশফিকুর রহিম। দুই দশকেরও বেশি সময় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাটিয়ে তিনি পৌঁছেছেন এক বিশেষ জায়গায়। পরিশ্রম, শৃঙ্খলা আর নিজের প্রতি কঠোরতা তাকে এনে দিয়েছে বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০তম টেস্ট খেলার সম্মান। সেই ম্যাচে সেঞ্চুরি করে তিনি আরও একটি ইতিহাস গড়েছেন।
ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে। খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে মুশফিক তার সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা কার—এ প্রশ্নের জবাবে উল্লেখ করেন তার স্ত্রীর ত্যাগ-তিতিক্ষার কথা।
মুশফিক বলেন, তিনি খুবই রুটিনমাফিক জীবনযাপন করেন। প্রতিদিন একই ধাঁচে অনুশীলন, প্রস্তুতি—সব মিলিয়ে তাকে অনেকেই ‘বোরিং পার্সন’ বললেও এই সততা ও পরিশ্রমই তাকে আজকের জায়গায় এনেছে। তার ভাষায়, “আমার জীবনে সবচেয়ে বেশি ত্যাগ করেছে আমার স্ত্রী। আমি অন্যদের তুলনায় অনেক সময় অনুশীলনে দেই, বাইরে থাকতে হয়। বাসায় সহযোগিতা না থাকলে এগুলো কখনোই সম্ভব হতো না।”
ক্যারিয়ার নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে মুশফিক আরও জানান, তিনি চাইছেন নিজের পরের প্রজন্মও প্রস্তুত করে যেতে—“জাতীয় দলে প্রতিটি টেস্ট আমার জন্য সম্মানের। আমি চাই, আমার পরে কেউ যেন প্রস্তুত খেলোয়াড় হয়ে যেতে পারে। এটাই আমার চাওয়া।”
সন্তানদের লালনপালনে স্ত্রীর অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমাদের দুই সন্তান ছোট। বাচ্চারা সাধারণত রাতে ঘুম ভাঙায়, কিন্তু আমার এমন রাত কখনো কাটেনি। পুরোটা দায়িত্ব আমার স্ত্রী সামলেছে, যাতে আমি কোনো দুশ্চিন্তা ছাড়া খেলায় মন দিতে পারি। এজন্য তাকে সব সময় কৃতজ্ঞতা জানাই।”
এসআর
মন্তব্য করুন: