[email protected] বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

নারী কাবাডি বিশ্বকাপের ট্রফি উন্মোচন করলেন প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০২৫ ৭:২৫ পিএম

দ্বিতীয় নারী কাবাডি বিশ্বকাপ ২০২৫-এর অফিসিয়াল ট্রফি উন্মোচন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ‘যমুনা’য় অংশগ্রহণকারী সব দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে তিনি এই ট্রফি উন্মোচন করেন।

এ আয়োজনে ট্রফি উন্মোচন শুধু প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক সূচনাই নয়, বরং আসন্ন বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে জমে ওঠা বৈশ্বিক কাবাডি উৎসবের প্রস্তুতিকে আরও বেগবান করেছে। প্রথমবারের মতো নারী কাবাডি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ১৭ থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এই টুর্নামেন্ট।

উন্মোচন অনুষ্ঠানটি কেবল বিশ্বকাপের আগমনী বার্তা নয়—এটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নারী খেলাধুলার প্রসারে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান নেতৃত্বকেও তুলে ধরেছে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ঢাকায় বিশ্বকাপ আয়োজন বাংলাদেশের জন্য গর্বের বিষয়। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, এই টুর্নামেন্টকে অন্তর্ভুক্তিমূলক, অনুপ্রেরণামূলক এবং বিশ্বমানের একটি আয়োজন হিসেবে সফল করার জন্য সরকার সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেবে।

প্রধান উপদেষ্টা visiting দলগুলোকে স্বাগত জানিয়ে আয়োজক, ক্রীড়াবিদ ও অংশীদারদের প্রচেষ্টাকে প্রশংসা করেন—যারা বিশ্বকাপটি সফল করতে নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

আসরের এবারের সংস্করণে বিশ্বের শীর্ষ নারী কাবাডি দলগুলো অংশ নিচ্ছে। আট দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় থাকবে রোমাঞ্চকর ক্রীড়াযুদ্ধ, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং আন্তর্জাতিক ক্রীড়াসুলভ সম্পর্কের সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা।

বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের আয়োজকরা জানিয়েছেন, লজিস্টিকস, নিরাপত্তা, দলীয় আবাসন এবং দর্শক অংশগ্রহণসহ সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত পর্যায়ে। ১৭ নভেম্বর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর প্রতিদিন ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এবং ২৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টের ফাইনাল।

এবারের বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে ১১ দেশ—বাংলাদেশ, চাইনিজ তাইপে, জার্মানি, ইরান, ভারত, কেনিয়া, নেপাল, পোল্যান্ড, থাইল্যান্ড, উগান্ডা ও জাঞ্জিবার।

অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, সরকার নারীদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ বৃদ্ধির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাদের প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বাড়াতে নানামুখী উদ্যোগ নিচ্ছে। তিনি জানান, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের নারী ক্রীড়াবিদরা ধারাবাহিকভাবে নিজেদের দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন এবং সরকার তাদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের নারী অ্যাথলেটদের সাফল্য এখন জাতীয় গৌরবের প্রতীক; এটি নতুন প্রজন্মের জন্যও এক অনন্য অনুপ্রেরণা।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর