আয়ারল্যান্ডের মাঠে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে দুয়ো দেওয়া নতুন
কিছু নয়। ম্যাচের আগে তিনি ভদ্র আচরণের প্রতিশ্রুতি দিলেও ডাবলিনে সেই প্রতিশ্রুতি ধরে রাখতে পারেননি। একপর্যায়ে মেজাজ হারিয়ে লাল কার্ড দেখেন তিনি, আর তার দল পর্তুগালও হার মানে আয়ারল্যান্ডের কাছে ২–০ ব্যবধানে।
বৃহস্পতিবার রাতে আভিভা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে পর্তুগাল বল দখলে আধিপত্য দেখালেও ফল নিজেদের পক্ষে আনতে পারেনি। পুরো ম্যাচে ৭২ শতাংশ পজেশন ও ১৪টি শট নিলেও কোনোটিই জালে জড়াতে পারেনি রবার্তো মার্টিনেজের দল। বিপরীতে আয়ারল্যান্ড ৬টি শটের মধ্যে ৩টি লক্ষ্যে পাঠিয়ে দুটি গোল আদায় করে নেয়।
ম্যাচের ১৭ মিনিটে আয়ারল্যান্ড এগিয়ে যায় ট্রয় প্যারোটের গোলে। কর্নার থেকে আসা বল মাথা ছুঁইয়ে গোলমুখে পৌঁছে দেন লিয়াম, আর প্যারোট দ্বিতীয় হেডে জাল খুঁজে নেন। এর আগেও গোলরক্ষক দিয়েগো কস্তার ভুলে পর্তুগাল গোল হজম করতে পারত। ৩৮ মিনিটে আয়ারল্যান্ডের একটি কোনাকুনি শট দূরের পোস্টে লেগে ফিরে আসে।
আক্রমণভাগে নিষ্প্রভ থাকা পর্তুগালকে আরও একবার শাস্তি দেন প্যারোট। বিরতির ঠিক আগে বক্সের ভেতর একজনকে কাটিয়ে তিনি নিচু শটে বল পাঠান কাছের পোস্ট ঘেঁষে। প্রথমার্ধ শেষে আয়ারল্যান্ড ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে পর্তুগাল আক্রমণ বাড়ালেও আয়ারল্যান্ডের রক্ষণ তাদের থামিয়ে দেয়। এর মাঝে গ্যালারির দুয়ো ও ম্যাচের চাপ মিলিয়ে রোনালদোর মেজাজ আরও গরম হয়ে ওঠে। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারকে কনুই মারার ঘটনায় প্রথমে হলুদ কার্ড পান তিনি। পরে ভিএআরের পর্যালোচনায় সেটি বদলে সরাসরি লাল কার্ড shown হয়—আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে যা রোনালদোর প্রথম লাল কার্ড। মাঠ ছাড়ার সময় তিনি দর্শকদের দিকে ব্যঙ্গ করে তালিও দেন। ডাগআউটে গিয়ে আইরিশ কোচের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায়ও জড়ান। এসব কারণে তাঁর ওপর একাধিক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, যা ২০২৬ বিশ্বকাপেও প্রভাব ফেলতে পারে।
এর আগে জাতীয় দলের ২২৫ ম্যাচে কখনো লাল কার্ড দেখেননি সিআর৭। তার বিদায়ের পরও ম্যাচে ফেরার সুযোগ তৈরি করতে পারেনি পর্তুগাল।
এই হারের ফলে গ্রুপ–এফে কিছুটা চাপে পড়েছে পর্তুগাল। তবে পাঁচ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তারা এখনো শীর্ষে। হাঙ্গেরি ৮ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে এবং আয়ারল্যান্ড ৭ পয়েন্ট নিয়ে তিনে। তিন দলই এখনো সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার দৌড়ে রয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: