গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার অভিযোগের পর আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে দেশটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জোরদার হলেও ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো জানিয়ে দিয়েছেন, রাজনৈতিক সংকট মেটানো তাদের কাজ নয়।
বৃহস্পতিবার জুরিখে ফিফা কাউন্সিল সভার উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, “আজকের পৃথিবীতে বহু সংঘাত চলছে।
যারা ভুগছে, তাদের প্রতি আমাদের সমবেদনা আছে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা যা ফুটবল দিতে পারে তা হলো শান্তি ও ঐক্য।
ফিফা ভূরাজনৈতিক সমস্যার সমাধান করতে পারে না, কিন্তু ফুটবলের শিক্ষামূলক, সাংস্কৃতিক ও মানবিক মূল্যবোধ দিয়ে মানুষকে এক করতে পারে।
সভা শেষে ইনফান্তিনো ফিলিস্তিনি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জিবরিল রাজৌবের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে তিনি সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, ফিলিস্তিনের দৃঢ়তাকে তিনি শ্রদ্ধা জানান এবং বিভক্ত পৃথিবীতে মানুষকে এক করতে ফিফা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এদিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ফিফা ও উয়েফাকে আহ্বান জানিয়েছে, ইসরায়েলকে বিশ্বকাপ ও ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতা থেকে বহিষ্কার করতে। ফিফার সহসভাপতি ভিক্টর মন্তাগলিয়ানি জানান, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব উয়েফার।
বর্তমানে ইসরায়েলের জাতীয় দল বিশ্বকাপ বাছাইয়ে অংশ নিচ্ছে এবং মাকাবি তেল আবিব খেলছে ইউরোপা লিগে।
জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন জানায়, ২০২৩ সালে শুরু হওয়া যুদ্ধে গাজায় ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইনে সংজ্ঞায়িত পাঁচটির মধ্যে চারটি গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে।
মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, খেলাধুলা ‘ব্যবসা চলবে আগের মতো’ বার্তা দিতে পারে না—তাই ফিফা ও উয়েফার উচিত ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করা।
তবে ইসরায়েল সব অভিযোগ অস্বীকার করে প্রতিবেদনকে ‘বিকৃত ও মিথ্যা’ বলেছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: