মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাকিস্তানকে মাত্র ১১০ রানে গুটিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।
টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত একদম সঠিক প্রমাণিত হয় টাইগারদের জন্য।
তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমানের আগুনঝরা বোলিংয়ে দিশেহারা ছিল সফরকারী পাকিস্তান। মাত্র ১৯.৩ ওভারে অলআউট হয়ে যায় দলটি।
পাকিস্তান শুরুটা ভালো করলেও দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম আঘাত হানেন তাসকিন আহমেদ। মাত্র ৬ রানে সাইম আয়ুবকে ফেরান তিনি। তৃতীয় ওভারে মেহেদী হাসানের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ৪ রানে ফেরেন হারিস। এরপর শুরু হয় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতন।
পঞ্চম ওভারে অধিনায়ক সালমান আলি আগা তানজিম হাসানের শিকার হন মাত্র ৩ রানে। পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার আগেই অভিষিক্ত হাসান নবাজকে ফিরিয়ে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। ৬ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর দাঁড়ায় ৪১/৪।
এরপর রানআউটের শিকার হন মোহাম্মদ নবাজ ও ফখর জামান। ৩৪ বলে ৪৪ রান করে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন ফখর। দু’টি রানআউটই ঘটে ব্যাটারদের ভুল বোঝাবুঝির কারণে।
শেষদিকে খানিকটা প্রতিরোধ গড়েন খুশদিল শাহ (১৭) ও আব্বাস আফ্রিদি (২২)। তিনটি ছক্কা হাঁকানো আফ্রিদি ইনিংসের একমাত্র আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলেন। দু’জনে মিলে গড়েন ৩৩ রানের জুটি, যা ছিল দলের পক্ষে সর্বোচ্চ।
১৬তম ওভারে মোস্তাফিজ ফেরান খুশদিল শাহকে। এরপর ১৯তম ওভারে আবার আক্রমণে ফিরে আসেন তাসকিন আহমেদ। এক ওভারে তিন উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের ইনিংসে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন তিনি। ওই ওভারে তিনি ফিরিয়ে দেন আফ্রিদি, ফাহিম আশরাফ ও সালমান মির্জাকে।
বাংলাদেশের বোলিং ও ফিল্ডিং ছিল অত্যন্ত শৃঙ্খলাপূর্ণ ও আক্রমণাত্মক, যা তাদের ম্যাচের শুরু থেকেই প্রাধান্য এনে দেয়। এখন দেখার পালা, টাইগার ব্যাটাররা সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে কতটা দক্ষতা দেখাতে পারে।
এসআর
মন্তব্য করুন: