শেখ মেহেদি হাসানের ঘূর্ণি জাদু ও তানজিদ হাসান তামিমের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কার মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ (২-১) জিতে নিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
বুধবার (১৬ জুলাই) কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে স্বাগতিকদের ১৩২ রানে থামিয়ে ৮ উইকেটের দাপুটে জয় পায় টাইগাররা।
বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখান অফস্পিনার শেখ মেহেদি হাসান। ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান খরচ করে শিকার করেন ৪টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। বাংলাদেশের জয়ে এটিই ছিল টার্নিং পয়েন্ট।
১৩৩ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাট হাতে আলো ছড়ান তানজিদ হাসান তামিম। ৪৭ বলে ১ চার ও ৬ ছক্কার সাহায্যে ৭৩ রানে অপরাজিত থেকে দলকে ২১ বল হাতে রেখেই সিরিজ জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তরুণ এই ওপেনার।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় শ্রীলঙ্কা। শরিফুল ইসলামের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে কুশাল মেন্ডিস ক্যাচ দেন তাওহিদ হৃদয়ের হাতে। এরপর মেহেদি হাসানের স্পিন ঘূর্ণিতে লঙ্কান শিবিরে নামে ত্রাস।
মেহেদি তার করা প্রথম তিন ওভারে ফেরান লঙ্কান দলের তিন অধিনায়ককে। শুরুতে আউট করেন সাবেক অধিনায়ক কুশল পেরেরাকে, এরপর দীনেশ চান্দিমাল এবং বর্তমান অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কাকে।
এরপর নিজের শেষ ওভারে সাজঘরে ফেরান ইনিংসের অন্যতম ভরসা পাথুম নিশাঙ্কাকে। ৩৯ বলে ৪টি বাউন্ডারিতে ৪৬ রান করা এই ওপেনার মেহেদির বলেই বোল্ড হন। এটাই ছিল শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর।
দলীয় ৬৬ রানে ছয় নম্বর ব্যাটার হিসেবে ফিরে যান নিশাঙ্কা। এরপর দ্রুতই ফিরেন কামিন্দু মেন্ডিস (২১) ও জাফরি ভেন্ডারসি (১০৩ রানে দলীয় সপ্তম উইকেট)।
শেষ দিকে দাসুন শানাকার ২৫ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে শ্রীলঙ্কা ২০ ওভারে ১৩২ রানে থামে।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৫৪ রান করেও ৭ উইকেটে হেরে যায় বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে লিটন দাসের ব্যাটিং নৈপুণ্যে টাইগাররা ১৭৭ রান করে ২২ রানে জয় পেয়ে সিরিজে সমতা ফেরায়।
শেষ ম্যাচে দুই তরুণ তুর্কি—মেহেদি ও তানজিদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সিরিজ জিতে নেয় বাংলাদেশ, যা বিদেশের মাটিতে আরেকটি বড় অর্জন হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: