বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলের বাইরে রয়েছেন।
সর্বশেষ তিনি ২০২৩ সালের আগস্টে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামেন। এরপর থেকে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচে তাকে দেখা যায়নি।
সম্প্রতি রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ব্যক্তিগত কিছু আইনি জটিলতার কারণে দেশে না ফিরতে পারায় তার জাতীয় দলে ফেরা নিয়েও তৈরি হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন,
“সাকিবের জাতীয় দলে ফেরার বিষয়ে আমি অফিসিয়ালি কিছু শুনিনি। সাধারণত এমন সিদ্ধান্ত বোর্ডে আলোচনা হয়। এখন পর্যন্ত এমন কোনো আলোচনা হয়নি।”
তিনি আরও বলেন,
“ক্রিকেটের বাইরের বিষয় নিয়ে আমরা অতটা আলোচনা করছি না। গেল দুই বছর ধরেই এসব নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছে। তবে বিষয়টি গুজব কি না, তাও আমি নিশ্চিত নই। আমি বোর্ড সভাপতি হিসেবে এটুকুই বলতে পারি—এ বিষয়ে আমাদের কাছে এখনো কিছু আসেনি।”
এর আগে বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু মিরপুরে সাংবাদিকদের বলেন,
“বাংলাদেশের গ্রেটেস্ট ক্রিকেটার হচ্ছেন সাকিব আল হাসান। তার জন্য জাতীয় দলের দরজা সবসময় খোলা। তবে সিদ্ধান্তটা নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্টের।”
তিনি আরও জানান,
“বর্তমান বোর্ড সভাপতি পুরো দায়িত্ব দিয়েছেন ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগ, টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকদের ওপর। তারা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবেন।”
উল্লেখ্য, সাকিব আল হাসান ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে মাগুরা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকে তিনি দেশে ফেরেননি—এমন গুঞ্জন থাকলেও তা নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এসআর
মন্তব্য করুন: