বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম সেরা স্পিন অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
ব্যাটে-বলে দক্ষ হলেও দীর্ঘদিন ধরেই জাতীয় দলে নিয়মিত হতে পারছেন না তিনি। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের স্কোয়াড ঘোষণার পর তার দল থেকে বাদ পড়া আবারও নতুন করে আলোচনা সৃষ্টি করে।
বিষয়টি আরও বিতর্কিত হয় যখন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু এক গণমাধ্যমে বলেন, “যতক্ষণ মিরাজ আছে, ততক্ষণ মোসাদ্দেকের সুযোগ নেই।”
এ বক্তব্য অনেকের কাছেই অবমাননাকর ও হতাশাজনক হিসেবে ধরা পড়ে।
তবে ক্যান্ডিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিজের সেই মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন গাজী আশরাফ। জানিয়েছেন, সেদিন তিনি বক্তব্য দিতে গিয়ে সঠিক শব্দচয়ন করতে পারেননি এবং রাতেই তা বুঝতে পেরে অনুতপ্ত হয়েছেন। পরবর্তীতে মোসাদ্দেকের সঙ্গে দেখা হলে ব্যক্তিগতভাবে দুঃখ প্রকাশও করেছেন।
প্রধান নির্বাচকের ভাষায়,
“ভালো হলো আপনারা এই প্রশ্নটা করলেন। সেদিন আমি একটি লাইভ অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছিলাম। ২০-২৫ মিনিট ধরে অসংখ্য প্রশ্নের উত্তরে অনেক কিছুই বলে ফেলেছি। আমি আসলে বলতে চেয়েছিলাম—যতক্ষণ মিরাজ দলে আছে, ততক্ষণ মোসাদ্দেকের সুযোগ তুলনামূলক কম। কিন্তু বলার সময় তিনটি শব্দ বাদ পড়ে গিয়েছিল।”
তিনি আরও বলেন,
“চট্টগ্রামে প্রস্তুতি ম্যাচ দেখতে গিয়ে বিষয়টি মাথায় আসে। তখনই বুঝতে পারি, আমি সঠিকভাবে কথাটি উপস্থাপন করতে পারিনি। দুদিন পর মোসাদ্দেকের সঙ্গে দেখা হলে আমি সরাসরি তাকে বিষয়টি বলেছি, তাকে ভুল বোঝার জন্য আমি ‘সরি’ বলেছি।”
উল্লেখ্য, মোসাদ্দেক ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম ধারাবাহিক পারফরমার। জাতীয় দলের হয়ে একসময় নিয়মিত খেলা এই অলরাউন্ডার এখন ঘরোয়া ক্রিকেটেই নিজের সেরাটা দিয়ে যাচ্ছেন। তবে জাতীয় দলের বর্তমান কম্বিনেশনে একই ঘরানার আরেক অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ থাকার কারণে মোসাদ্দেককে নিয়মিত বিবেচনায় আনা হয় না বলে জানিয়েছেন নির্বাচকরা।
কিন্তু একজন খেলোয়াড়কে সরাসরি অপরজনের সঙ্গে তুলনা করে বাদ দেওয়ার মতো মন্তব্য করা কতটা গ্রহণযোগ্য—তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এ বিষয়ে গাজী আশরাফের অনুতাপ এবং দুঃখপ্রকাশকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকরা।
এসআর
মন্তব্য করুন: