বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের এশিয়ান কাপ মিশন শেষ হয়েছে দারুণ সাফল্যে।
এক ম্যাচ হাতে রেখেই মূল পর্ব নিশ্চিত করার পর আজ তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে আনুষ্ঠানিকতা রক্ষার ম্যাচেও দেখা গেল দাপটের ছাপ। প্রতিপক্ষকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হিসেবে গ্রুপ সি থেকে বাছাই পর্ব শেষ করেছে লাল-সবুজের মেয়েরা।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে আটটি গ্রুপের মধ্যে আটটি দল—শুধুমাত্র গ্রুপ চ্যাম্পিয়নরাই পাবে ২০২৬ সালের নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার সুযোগ। বাংলাদেশ তিন ম্যাচে তিন জয় ও পূর্ণ ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এই তিন ম্যাচে বাংলাদেশ ১৬ গোল করেছে, বিপরীতে মাত্র ১ গোল হজম করেছে, সেটিও মিয়ানমারের বিপক্ষে।
আগের দুই আসরের তুলনায় এবারের পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ নারী দল তাদের অগ্রগতির স্বাক্ষর রেখেছে। যেখানে আগের বাছাইপর্বে কোনো জয়ই ছিল না, বরং বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছিল। এবার টানা দুইবার সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলটি এশিয়ান মঞ্চেও নিজেদের অবস্থান জানান দিয়েছে। বিশেষ করে এশিয়ার শক্তিশালী দল ও স্বাগতিক মিয়ানমারের বিপক্ষে জয় ছিল দারুণ আত্মবিশ্বাস জাগানিয়া।
আজ ইয়াঙ্গুনের থুয়ুন্না স্টেডিয়ামে গ্রুপের শেষ ম্যাচে প্রথমার্ধেই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে ফেলে বাংলাদেশ। মাত্র ৩ মিনিটে স্বপ্না রানীর গোলে এগিয়ে যায় দল। এরপর শামসুন্নাহার ৬ ও ১৩ মিনিটে জোড়া গোল করে ব্যবধান বাড়ান। এরপর একের পর এক গোল আসে মনিকা (১৬), ঋতুপর্ণা (১৭ ও ৪২) এবং তহুরা খাতুনের (২০) পা থেকে। দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোল না হলেও প্রথমার্ধের ৭-০ লিডই ম্যাচের ফল নির্ধারণ করে দেয়।
তুর্কমেনিস্তান এ ম্যাচে বাংলাদেশের গতি ও আক্রমণের তীব্রতা সামলাতে ব্যর্থ হয়। তারা আগের ম্যাচে স্বাগতিক মিয়ানমারের বিপক্ষেও ৮-০ গোলে হেরেছিল। বাংলাদেশের এই জয়ে পরিসংখ্যানেও যোগ হলো নতুন অধ্যায়—এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয় ও সবচেয়ে বেশি গোল করা দলগুলোর কাতারে এখন বাংলাদেশ।
এর আগে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ বাহরাইনকে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল। সেই ম্যাচেও প্রথমার্ধেই ৫ গোল করেছিল বাঘিনীরা।
মিশন শেষ করে আগামীকাল বিকেলে বাংলাদেশ নারী দল মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরবে। মধ্যরাতে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে তাদের। বাফুফে সূত্র জানিয়েছে, রাতেই নারী ফুটবলারদের জন্য একটি সংবর্ধনার আয়োজন করা হতে পারে।
এসআর
মন্তব্য করুন: