[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
১৯ আষাঢ় ১৪৩২

ঋতুপর্ণাদের ইতিহাস, ৪৫ বছর পর এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২ জুলাই ২০২৫ ১১:১৭ পিএম

সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ নারী ফুটবলে রচিত হলো এক অনন্য ইতিহাস। প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

স্বাগতিক মিয়ানমারকে ২-০ গোলে হারানোর পাশাপাশি বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তানের মধ্যকার ২-২ গোলে ড্র বাংলাদেশের এই ঐতিহাসিক সাফল্য নিশ্চিত করে।

দুই ম্যাচে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে সি-গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। মিয়ানমার রয়েছে ৩ পয়েন্টে, আর বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তানের পয়েন্ট ১ করে। ফলে শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ হারলেও এবং মিয়ানমার জয় পেলেও, হেড টু হেডে এগিয়ে থাকায় গ্রুপ সেরা হয়েই ২০২৬ নারী এশিয়ান কাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।

এই সাফল্যের নেপথ্যে সবচেয়ে বড় অবদান ঋতুপর্ণা চাকমার। আজকের ম্যাচে তাঁর করা জোড়া গোলেই জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। কোচ টম সেন্টফিট বাটলার বললেন, "ঋতুপর্ণার গোলগুলো ম্যাচের রূপরেখাই বদলে দিয়েছে। ওর আত্মবিশ্বাস গোটা দলকে ছুঁয়ে গেছে।"

এদিকে, বাহরাইন-তুর্কমেনিস্তান ম্যাচের নাটকীয় সমাপ্তি বাংলাদেশের জন্য হয়ে ওঠে স্বস্তির কারণ। ইনজুরি সময়ে গোল করে বাহরাইন ম্যাচটিকে ২-২ গোলে ড্র করে, যা তুর্কমেনিস্তানের জয়ের সম্ভাবনা রুখে দেয়। না হলে শেষ ম্যাচে চাপে পড়তে হতো বাংলাদেশকে।

৫ জুলাই তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি এখন শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। ফল যাই হোক, বাংলাদেশের টিকিট নিশ্চিত—২০২৬ নারী এশিয়ান কাপে দেখা যাবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিত্ব।

এই অর্জন শুধুই একটি ফুটবল ম্যাচ জয়ের নয়, বরং দেশের ক্রীড়াঙ্গনে এক নতুন যুগের সূচনা।

১৯৮০ সালে বাংলাদেশ পুরুষ দল প্রথমবার এশিয়া কাপে অংশ নিয়েছিল কুয়েতে। দীর্ঘ ৪৫ বছর পর এবার সেই একই মঞ্চে জায়গা করে নিলেন দেশের নারী ফুটবলাররা—অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে।

এটাই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের নারী ফুটবলের সবচেয়ে বড় অর্জন। আর এই অর্জনের মূল নায়িকা হয়ে থাকলেন ঋতুপর্ণারা। 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর