আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (IOC) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার ঢাকাসহ দেশের সাতটি বিভাগীয় শহরে উদযাপিত হলো "অলিম্পিক ডে ২০২৫"।
ফিজিক্যাল একটিভিটি ও ক্রীড়াচর্চার গুরুত্ব ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) আয়োজনে দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয় দিনটি।
ঢাকায় মূল অনুষ্ঠানটি হয় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে, অনাড়ম্বর পরিবেশে সকাল ৬:৩০ টায় বেলুন উড়িয়ে র্যালির উদ্বোধন করেন বিওএ’র সম্মানিত সভাপতি এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এসবিপি, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি। র্যালিটি শুরু হয়ে বাংলাদেশ সচিবালয়, জিরো পয়েন্ট, জিপিও হয়ে শেষ হয় জাতীয় স্টেডিয়ামের ১নং গেটে।
র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন বিওএ’র সদস্যবৃন্দ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তা, সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী, পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়া ফেডারেশন, ক্লাব, ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ ক্রীড়ানুরাগী ও সংগঠকরা।
র্যালি শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে হালকা নাস্তা ও অংশগ্রহণ সনদ বিতরণ করা হয়। এরপর পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সমাপনী অনুষ্ঠান। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিওএ সভাপতি, আইওসি’র পতাকা উত্তোলন করেন বিওএ মহাসচিব জনাব সৈয়দ শাহেদ রেজা, এবং বিওএ’র পতাকা উত্তোলন করেন অলিম্পিক ডে সাংগঠনিক কমিটির আহ্বায়ক ও বিওএ’র উপ-মহাসচিব জনাব আশিকুর রহমান মিকু।
সমাপনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এনসিডিসি শাখার ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. সজীব রায় ফিজিক্যাল একটিভিটির উপকারিতা এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এর গুরুত্ব নিয়ে একটি সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন।
বিওএ’র সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, “শারীরিক সক্রিয়তা কমে যাওয়ার ফলে আমাদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ নানা জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত ক্রীড়াচর্চার মাধ্যমে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখা সম্ভব। আমরা চাই, দেশের প্রতিটি অঞ্চলে এই সচেতনতা ছড়িয়ে পড়ুক।”
তিনি জানান, অতীতে বিওএ’র আয়োজনে পরিবারভিত্তিক ম্যারাথন প্রতিযোগিতা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে, যেখানে মা, বাবা ও সন্তান একসঙ্গে অংশ নিয়েছে—এটি দেশজুড়ে ক্রীড়াচর্চার প্রতি মানুষের আগ্রহকে প্রকাশ করে।
অনুষ্ঠান শেষে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ সহযোগী ও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান এবং সর্বস্তরের অংশগ্রহণকারীদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: