বাংলাদেশের জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক ম্যাচে জয় না পেলেও মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী ফুটবলবিশ্বের পরিচিত মুখ। তবে দেশের মাটিতে ২-১ গোলে হার দিয়ে শুরু হওয়া হতাশার ছায়া এবার লেগে গেল তার ক্লাব ক্যারিয়ারেও। চ্যাম্পিয়নশিপ প্লে-অফের ফাইনালে হারার পর শেফিল্ড ইউনাইটেড থেকে বরখাস্ত হলেন তার কোচ ক্রিস ওয়াইল্ডার।
গত বুধবার (১১ জুন) ইংলিশ ক্লাবটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানায়, তারা ৫৭ বছর বয়সী কোচ ওয়াইল্ডার ও তার সহকারী স্টাফদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। এর আগে ২০২৪-২৫ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নশিপে তৃতীয় স্থান অর্জন করে শেফিল্ড ইউনাইটেড। সেমিফাইনালে ব্রিস্টল সিটিকে হারিয়ে ওয়েম্বলির ফাইনালে ওঠে দলটি। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ে টমি ওয়াটসনের গোলে সান্ডারল্যান্ডের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরে প্রিমিয়ার লিগে ওঠার স্বপ্ন চূর্ণ হয়।
দলের ব্যর্থতা ওয়াইল্ডারের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেয়। অথচ, মৌসুমের একটি পর্যায়ে শেফিল্ড ইউনাইটেড ছিল শীর্ষ অবস্থানে। শেষ সাত ম্যাচে মাত্র দুইটি জয়ই তাদের ছিটকে দেয় সরাসরি প্রমোশন থেকে। লিডস ইউনাইটেড ও বার্নলি সেই সুযোগ নিয়ে সরাসরি প্রিমিয়ার লিগে উঠে যায়।
ওয়াইল্ডারের সঙ্গে শেফিল্ড ইউনাইটেডের সম্পর্ক নতুন নয়। ২০১৬ সালে লিগ ওয়ান থেকে ক্লাবকে চ্যাম্পিয়নশিপে তোলেন তিনি। পরে ২০১৯ সালে দলকে প্রিমিয়ার লিগেও উন্নীত করেন। তবে ২০২১ সালে প্রথম মেয়াদ শেষে বিদায় নেন তিনি।
এরপর ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে আবার দায়িত্বে ফিরে আসেন, যখন শেফিল্ড প্রিমিয়ার লিগ টেবিলের তলানিতে ছিল। তখন ক্লাবটি ছিল মার্কিন মালিকানাধীন সিওএইচ স্পোর্টস কনসোর্টিয়ামের অধীনে, যারা ওয়াইল্ডারকে ২০২৭-২৮ মৌসুম পর্যন্ত চুক্তি দিয়েছিল। তবে লক্ষ্য পূরণ না হওয়ায় সিদ্ধান্ত বদলায় তারা।
শেফিল্ড ইউনাইটেড এক বিবৃতিতে জানায়, "একজন সত্যিকারের ‘ব্লেড’, ক্রিস ও তার কোচিং স্টাফ যে লিগ্যাসি রেখে যাচ্ছেন, তা অবিস্মরণীয়। ২০১৬ সাল থেকে শুরু হওয়া যাত্রায় ক্লাবের নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর পেছনে ছিল তাদের বড় ভূমিকা।"
এখন ক্লাবটির নজর নতুন কোচের দিকে। সাউথ্যাম্পটন ও হাল সিটির সাবেক কোচ রুবেন সেলেস সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন। এই ছাঁটাই নিঃসন্দেহে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরীর জন্যও বড় ধাক্কা। ভবিষ্যতে নতুন কোচের অধীনে তার ক্লাব ক্যারিয়ারে কী প্রভাব পড়ে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
এসআর
মন্তব্য করুন: