ফারুক আহমেদকে জোরপূর্বক সরালে আইসিসি নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে বিসিবি

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদকে নিয়ে সরকারপক্ষের অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।

 গুঞ্জন উঠেছে, তাকে সরিয়ে আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে ফারুক আহমেদ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়া তিনি পদত্যাগ করবেন না। ফলে জোরপূর্বক তাকে অপসারণের চেষ্টা করলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ওপর নেমে আসতে পারে আন্তর্জাতিক নিষেধাজনার মতো কঠিন শাস্তি।

গত আগস্টে সরকার পরিবর্তনের পর ফারুক আহমেদ ও নাজমুল আবেদীন ফাহিম জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)-এর প্রতিনিধি হিসেবে বিসিবির পরিচালক হিসেবে মনোনীত হন। তবে ফারুক আহমেদ শুধু একজন মনোনীত পরিচালক নন, তিনি পরিচালকদের ভোটে নির্বাচিত বিসিবি প্রেসিডেন্ট। ফলে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে তাকে সরাতে হলে বোর্ডের সংবিধান অনুযায়ী প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।

বিশ্লেষকদের মতে, ফারুককে জোরপূর্বক সরানোর চেষ্টা করলে তা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) চোখে ‘সরকারি হস্তক্ষেপ’ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। আইসিসি এ ধরনের হস্তক্ষেপকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করে। এর আগে একই কারণে ২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডকে সাময়িক নিষিদ্ধ করেছিল আইসিসি। এছাড়া জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডও একাধিকবার নিষেধাজ্ঞায় পড়েছে।

বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি বরাবরই স্বাধীন ও গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত বোর্ডকে সমর্থন করে থাকে। কাজেই ফারুক আহমেদকে চাপ দিয়ে সরানোর কোনো উদ্যোগ বিসিবির জন্য মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে।