বাংলাদেশের ক্রিকেটে আবারও আলোচনায় উঠে এসেছে পুরনো এক দুঃস্বপ্ন—ম্যাচ ফিক্সিং।
বিপিএল-এর কিছু ম্যাচ নিয়ে সন্দেহ তৈরি হওয়ার পর এবার ঢাকার ঘরোয়া ক্রিকেটেও উঠেছে নতুন অভিযোগ। বিষয়টি ঘিরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ।
শনিবার এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিসিবি সভাপতি বলেন, “আমি মনে করি প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটে ম্যাচ ফিক্সিং অনেকটাই কমেছে, তবে একেবারে বন্ধ হয়নি।”
সম্প্রতি গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব-এর একটি ম্যাচে অনিয়মের অভিযোগ উঠলে বিসিবি তদন্তের ঘোষণা দেয়। এ প্রসঙ্গে ফারুক আহমেদ বলেন, “যদি কোনো ম্যাচ ফিক্সড হয়, তাহলে আপনি কখনই ভালো ক্রিকেটার তৈরি করতে পারবেন না। সেরা ব্যাটসম্যানকে শূন্য রানে আউট হতে বললে, সেরা বোলারকে নো বল বা ওয়াইড দিতে বললে সেটা আর খেলাই থাকে না। এটা খেলাধুলার জন্য হুমকি।”
তিনি আরও জানান, “আমি কয়েকদিন আগে আইসিসির একটি মিটিংয়ে অংশ নিয়ে ফিরেছি। আমাদের একটি টেকনিক্যাল কমিটি রয়েছে। তারা বিষয়টি তদন্ত করবে। যদি কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগের পাশাপাশি সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিসিবির সদর দপ্তরে অভিযান চালায়। এ নিয়ে বিসিবি সভাপতির ভাষ্য, “আমি যেদিন আইসিসি মিটিং থেকে ফিরি, সেদিনই দুদক আসে। আমি নিশ্চিত তারা নির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়েই এসেছে। আমরা তাদের পূর্ণ সহযোগিতা করব। তারা যেসব তথ্য বা কাগজ চাইবে, তা দেওয়া হবে। আমি আমাদের সিইওকে বলেছি, যেন দুদকের সব প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দেওয়া হয়।”
তিনি আরও বলেন, “তারা ঠিক কতদূর তদন্ত করবে, সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে আমরা আন্তরিকভাবে চাই সত্য উদঘাটিত হোক এবং দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করা হোক।”
এসআর
মন্তব্য করুন: