পাউলিস্তা চ্যাম্পিয়নশিপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নেইমারের জাদুকরি পারফরম্যান্সে উড়ল সান্তোস। ইন্তের দে লিমেইরার সমর্থকদের বিরূপ আচরণ সয়ে ম্যাচের মোড়ই ঘুরিয়ে দিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। ক্যারিয়ারের প্রথম ‘অলিম্পিকো’ গোলের সঙ্গে আরও দুটি দুর্দান্ত অ্যাসিস্ট উপহার দিয়ে সান্তোসকে পৌঁছে দিলেন কোয়ার্টার ফাইনালে।
বাংলাদেশ সময় সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ইন্তের দে লিমেইরার বিপক্ষে মাঠে নামতেই নেইমারকে দুয়ো দেওয়া শুরু করে স্বাগতিক সমর্থকরা। তবে এতে যেন আরও উজ্জীবিত হয়ে ওঠেন তিনি। নবম মিনিটে কর্নার নিতে গেলে দর্শকদের ‘দুয়ো’ আরও জোরে দেওয়ার ইঙ্গিত করেন নেইমার। ঠিক তখনই সেই কর্নার থেকে আসে সান্তোসের প্রথম গোল।
ম্যাচের ২৭তম মিনিটে নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম ‘অলিম্পিকো’ গোলটি করেন নেইমার। তার ডান পায়ের কর্নার শট বাঁক খেয়ে প্রতিপক্ষের সবাইকে ফাঁকি দিয়ে দূরের পোস্টে লেগে সরাসরি জালে জড়ায়। এই গোলেই স্তব্ধ হয়ে যায় দুয়ো দেওয়া গ্যালারি। প্রথমার্ধের শেষদিকে নেইমারের আরও একটি অ্যাসিস্ট থেকে আসে সান্তোসের তৃতীয় গোল, ফলে ৩-০ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে দলটি।
সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল ছেড়ে জানুয়ারিতে শৈশবের ক্লাব সান্তোসে ফিরে আসেন নেইমার। গত সপ্তাহেই এই প্রতিযোগিতায় নিজের প্রথম গোল পেয়েছিলেন তিনি। ম্যাচ শেষে টিএনটি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দর্শকদের আচরণ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান নেইমার। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, "ফুটবল খেলাই আমার সবচেয়ে বড় আনন্দ।"
স্বাগতিক সমর্থকদের উত্যক্ত করা দুয়োকে দারুণ এক জবাবে পরিণত করলেন নেইমার। তার অসাধারণ পারফরম্যান্সেই সান্তোস পেল কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট, আর প্রতিপক্ষ গ্যালারি পেল স্তব্ধ হওয়ার উপলক্ষ।
এসআর
মন্তব্য করুন: