বাংলাদেশের ক্রীড়া ইতিহাসে নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করেছে নারী ফুটবল দল। ২০২৪ উইমেন’স সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের গৌরবময় অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ পুরো দলকেই দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ‘একুশে পদক’ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
১১ জন নয়, পুরস্কার পাচ্ছে পুরো দল : প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত ছিল, নেপালকে ফাইনালে হারানোর ম্যাচে সেরা একাদশে থাকা ১১ জন খেলোয়াড়কে একুশে পদক দেওয়া হবে। কিন্তু বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) খেলোয়াড়, কোচ এবং কোচিং স্টাফসহ পুরো দলের নাম প্রস্তাব করে। এরপরই শুরু হয় নানা পর্যায়ে চিঠি চালাচালি। অবশেষে সিদ্ধান্ত হয়, শুধু ১১ জন নয়, বরং পুরো দলই পাবে এ সম্মান।
প্রজ্ঞাপন জারি: পদক গ্রহণের আমন্ত্রণ : সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবদুল মালেক সাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে ‘বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল’কে একুশে পদক গ্রহণের জন্য আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, “দলের পক্ষে একজন মঞ্চে প্রধান উপদেষ্টার নিকট হতে পদক গ্রহণ করবেন। তার পাশাপাশি একজন বিকল্প খেলোয়াড়ের নামও মনোনীত করতে হবে।” যদিও মঞ্চে উঠতে পারবেন না সবাই, তবে পুরো দলই আমন্ত্রিত থাকবে এই গৌরবময় অনুষ্ঠানে।
দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন: ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি : ২০২২ সালে নেপালকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশের নারী দল। ২০২৪ সালে আবারো সেই একই প্রতিপক্ষকে হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখে তারা। দুইবারই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। তার অধিনায়কত্বে মেয়েরা শুধু সাফল্যই এনে দেয়নি, বরং দেশকে গর্বিতও করেছে।
মঞ্চে কারা থাকবেন? : পদক গ্রহণের জন্য অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের সঙ্গে মঞ্চে উঠবেন সহ-অধিনায়ক মারিয়া মান্দা। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার জানিয়েছেন, “সাবিনার সঙ্গে মারিয়া মান্দার নামই পাঠানো হয়েছে।”
এই একুশে পদক শুধু সাফ শিরোপা জয়ের স্বীকৃতি নয়, এটি বাংলাদেশের নারী ফুটবলের অগ্রযাত্রার মাইলফলক এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য প্রেরণা।
এসআর
মন্তব্য করুন: