বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ হঠাৎ করে দেশের জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। মঙ্গলবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বিসিবি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক নিয়ে ক্রিকেট মহলে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
কেন এই বৈঠক? বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিসিবির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, দেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতেই এই অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। বোর্ড সভাপতির আকস্মিক এই বৈঠক নিয়ে বিসিবি ভবন এবং তার আশপাশে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে।
যারা ছিলেন আমন্ত্রিত। এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন সাবেক অধিনায়ককে। আমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিলেন শফিকুল হক হীরা, রকিবুল হাসান, গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, হাবিবুল বাশার, রাজিন সালেহ, শাহরিয়ার নাফীস, আকরাম খান, খালেদ মাসুদ পাইলট, মোহাম্মদ আশরাফুল, খালেদ মাহমুদ সুজন, মুমিনুল হক ও লিটন দাস।
যারা ছিলেন অনুপস্থিত। তবে আলোচিত এই বৈঠকে বর্তমান সময়ের তিন তারকা সাবেক অধিনায়ক—সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং নাইমুর রহমান দুর্জয় ছিলেন অনুপস্থিত। সাকিব বর্তমানে দেশের বাইরে থাকলেও, মাশরাফি ও দুর্জয়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণেই তারা আমন্ত্রিত হননি। উল্লেখ্য, সাকিব, মাশরাফি ও দুর্জয় সবাই আওয়ামী লীগের টিকিটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন যারা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, আকরাম খান, হাবিবুল বাশার সুমন, মোহাম্মদ আশরাফুল, শাহরিয়ার নাফীস, মুমিনুল হক ও লিটন দাস।
বৈঠকের প্রভাব ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। ক্রিকেট মহলের অনেকে মনে করছেন, বিসিবির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং জাতীয় দলের উন্নয়নের কৌশল নিয়ে সাবেক অধিনায়কদের পরামর্শ নিতেই এই বৈঠক করা হয়েছে। যদিও বিসিবির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা হয়নি, তবে সামনের দিনগুলোতে এই আলোচনার প্রভাব বোর্ডের কার্যক্রমে প্রতিফলিত হতে পারে।
বিসিবি সভাপতির এই হঠাৎ বৈঠক কি দেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় বড় কোনো পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে? নাকি এটি শুধুই সাধারণ মতবিনিময়? এর উত্তর দেবে সময়।
এসআর
মন্তব্য করুন: