[email protected] শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
৫ বৈশাখ ১৪৩২

পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটার সোহালী আখতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ৮:৩৯ পিএম

ফাইল ছবি

বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটার সোহালী আখতারকে পাঁচ বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

তিনি আইসিসির দুর্নীতি দমন সংক্রান্ত নিয়মের পাঁচটি ধারা ভঙ্গ করার অভিযোগ স্বীকার করেছেন, যার ভিত্তিতে তাকে এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

কী কী অভিযোগ রয়েছে?
আইসিসির এন্টি-করাপশন কোড অনুযায়ী, সোহালী আখতার ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো নিম্নরূপ:

১. ধারা ২.১.১: ইচ্ছাকৃতভাবে ম্যাচের ফলাফল, পারফরম্যান্স বা অন্য কোনো দিককে প্রভাবিত করার জন্য ষড়যন্ত্র বা অংশগ্রহণ করা।
২. ধারা ২.১.৩: ম্যাচ ফিক্সিং বা বাজির উদ্দেশ্যে ম্যাচের নির্দিষ্ট ঘটনার ফলাফল নিশ্চিত করতে ঘুষ গ্রহণ বা প্রস্তাব গ্রহণ করা।
৩. ধারা ২.১.৪: অন্য কোনো খেলোয়াড়কে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হতে উৎসাহিত করা বা সহায়তা করা।
৪. ধারা ২.৪.৪: আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে (ACU) সময়মতো কোনো দুর্নীতির প্রস্তাবের তথ্য না জানানো।
৫. ধারা ২.৪.৭: দুর্নীতির তদন্তে বাধা প্রদান করা, তথ্য গোপন করা বা তথ্য নষ্ট করা।

নিষেধাজ্ঞা কার্যকর কবে থেকে?
সোহালী আখতার তার দোষ স্বীকার করায় আইসিসির দেওয়া শাস্তি মেনে নিয়েছেন। ফলে ২০২৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর তিনি কোনো ধরনের ক্রিকেটে অংশ নিতে পারবেন না।

আইসিসির তদন্তে জানা গেছে, ২০২৩ সালের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (দক্ষিণ আফ্রিকা) ম্যাচ ফিক্সিং সংক্রান্ত কিছু প্রস্তাবের সঙ্গে সোহালীর সম্পৃক্ততা ছিল। তবে তদন্তের স্বার্থে আইসিসি তার সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য ব্যক্তিদের পরিচয় প্রকাশ করেনি।

সোহালী আখতারের নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটের জন্য বড় ধাক্কা। এই ঘটনা বাংলাদেশি ক্রিকেটের ইতিহাসে একটি অন্ধকার অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে, কারণ এর আগে পুরুষ ক্রিকেটাররা দুর্নীতির শিকার হলেও, এবার নারী ক্রিকেটেও এমন ঘটনা ঘটল।

আইসিসির এন্টি-করাপশন কোডের পূর্ণাঙ্গ নথি এবং সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য সংস্থাটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর