[email protected] শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
২৯ চৈত্র ১৪৩১

বিশ্বকাপে আম্পায়ারিংয়ের অভিষেক হতে যাচ্ছে জেসির

এম. এ. রনী

প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ ৩:০৯ পিএম
আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ ৩:১৩ পিএম

বাংলাদেশের নারী আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আরও একটি মাইলফলক অর্জনের পথে। আগামী শনিবার থেকে মালয়েশিয়ায় শুরু হতে যাওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ম্যাচ পরিচালনা করবেন তিনি। আইসিসি ঘোষিত ২০ জন ম্যাচ অফিশিয়ালের তালিকায় তার নাম যুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন অধ্যায় যুক্ত হলো।

বিশ্বকাপের স্বপ্ন পূরণ হলো ৩৪ বছর বয়সী সাথিরা জাকির জেসি বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটারের। ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষে আম্পায়ারিংয়ে যুক্ত হন এবং ইতোমধ্যে ২৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে তিনি আইসিসির ডেভেলপমেন্ট প্যানেলে যোগ দেন। সেখান থেকেই তার বিশ্বকাপে কাজ করার স্বপ্ন জোরালো হতে শুরু করে।

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার অভিষেক হওয়ার সুযোগ ছিল গত বছর। তবে শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশ থেকে টুর্নামেন্টটি সরিয়ে নেওয়া হলে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। এবার অনূর্ধ্ব-১৯ নারী বিশ্বকাপে তার সেই স্বপ্ন সত্যি হতে যাচ্ছে।

আইসিসির ঘোষিত তালিকায় ১৩টি দেশ থেকে মোট ১৬ জন আম্পায়ারের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর সঙ্গে আছেন চারজন ম্যাচ রেফারি। এই প্যানেলে থাকা অন্য নারীদের মধ্যে কাতারের শিবানী মিশ্র উল্লেখযোগ্য, যিনি ২০১৯ সালে প্রথম নারী হিসেবে ছেলেদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরিচালনা করেছিলেন। ভারতের গায়ত্রী বেণুগোপালান ও নারায়ণান জননী এবং পাকিস্তানের সালিমা ইমতিয়াজও আছেন এই তালিকায়।

২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ থেকে দুজন অফিসিয়াল—আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ এবং ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন। তবে এবার সাথিরা জাকির জেসিই একমাত্র বাংলাদেশি প্রতিনিধি হিসেবে গর্বিত ভূমিকা পালন করবেন।

জেসি এর আগে নারী এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি এবং অনূর্ধ্ব-১৯ নারী এশিয়া কাপে আম্পায়ারিং করেছেন। তার অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা তাকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। আম্পায়ারিং ক্যারিয়ারে তার এই অর্জন বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্যও একটি বড় সফলতা।

জেসির জন্য এই বিশ্বকাপ কেবল একটি মঞ্চ নয়, বরং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশি নারীদের জন্য এক অনুপ্রেরণার প্রতীক। তার এই অর্জন ভবিষ্যত প্রজন্মের নারী ক্রিকেটার এবং আম্পায়ারদের জন্য পথপ্রদর্শক হয়ে থাকবে।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর