বিপিএল ২০২৪-এর আরেকটি জমজমাট ম্যাচে খুলনা টাইগার্স ৩৭ রানে পরাজিত করলো চট্টগ্রাম কিংসকে। ২০৪ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চট্টগ্রাম ৭৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে যখন ধ্বংসস্তূপে, তখন একা লড়াই চালালেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। ৩৮ বলে দুর্দান্ত ৭৮ রানের ইনিংসে জাগিয়েছিলেন আশা, কিন্তু দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে পারেননি।
চট্টগ্রামের ব্যাটিং বিপর্যয়ে শামীমের একক লড়াই। বড় লক্ষ্য তাড়ায় চট্টগ্রামের ব্যাটিং লাইনআপ একের পর এক ভেঙে পড়ে। নাইম ইসলাম (৯ বলে ১২), পারভেজ হোসেন ইমন (৮ বলে ১৩), উসমান খান (১৫ বলে ১৮), মোহাম্মদ মিঠুন (৭ বলে ৬) ও হায়দার আলি (২ বলে ০)—তারা কেউই ক্রিজে থিতু হতে পারেননি।
এই বিপর্যয়ের মাঝেও নবম উইকেটে শামীম আলিস আল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালান। তারা মিলে ৪৭ বলে ৭৭ রানের জুটি গড়ে চট্টগ্রামের ইনিংসে নতুন রেকর্ড গড়েন। শামীম তার ইনিংসে ৭টি চার এবং ৫টি ছক্কা হাঁকান। তবে ১৯তম ওভারে আবু হায়দারের বলে আউট হয়ে গেলে চট্টগ্রামের জয়ের স্বপ্ন ভেঙে যায়। তাদের ইনিংস থামে ১৬৬ রানে। খুলনার পেসার আবু হায়দার রনি ছিলেন দুর্দান্ত, তিনি ৪৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন।
এর আগে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে চট্টগ্রাম কিংস অধিনায়ক খুলনাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান। প্রথম দিকের ধাক্কা সামলে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও উইলিয়াম বসিস্তু মিলে খুলনাকে ২০৩ রানের বড় সংগ্রহ এনে দেন।
নাইম শেখ ১৭ বলে ২৬ রান করে আউট হন। তবে মেহেদী হাসান মিরাজ (১৮ বলে ১৮), ইব্রাহিম জাদরান (৭ বলে ৬) ও আফিফ হোসেন (৭ বলে ৮) তেমন কিছু করতে পারেননি।
এরপর ৩৫ বলে ৮৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন বসিস্তু ও অঙ্কন। বসিস্তু ৫০ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন। অন্যদিকে, অঙ্কন মাত্র ২২ বলে ১ চার ও ৬ ছক্কায় ৫৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন।
চট্টগ্রামের বোলারদের মধ্যে আলিস আল ইসলাম ছিলেন সবচেয়ে সফল। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন। খালেদ আহমেদ ৪৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। তবে শরিফুল ইসলাম ছিলেন সবচেয়ে খরুচে, ৪ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি।
একদিকে খুলনার ধারাবাহিক ব্যাটিং পারফরম্যান্স, অন্যদিকে চট্টগ্রামের ব্যাটিং বিপর্যয়ে শামীমের রূপকথার মতো ইনিংস। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খুলনা টাইগার্সের বোলিং আক্রমণেই জয় নিশ্চিত হয়। ম্যাচটি বিপিএল ২০২৪-এর অন্যতম সেরা প্রদর্শনী হিসেবে উল্লেখযোগ্য হয়ে থাকবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: