চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক দেশ নিয়ে আইসিসির সিদ্ধান্তে নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে চূড়ান্ত পথ খুঁজে পায় সংস্থাটি।
শেষ পর্যন্ত, হাইব্রিড মডেলে আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি অনুষ্ঠিত হবে, যার ফলে পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে হবে না ভারতকে। অন্যদিকে, ২০২৭ সালের পরবর্তী আইসিসি টুর্নামেন্টগুলোও পাকিস্তান অংশ নেবে না ভারতে। তারাও হাইব্রিড মডেলে নিজেদের ম্যাচগুলো ভারতে নয়, অন্য কোথাও আয়োজন করবে।
এই প্রস্তাবের পর ভারত-পাকিস্তান দু’দেশই খুশি হলেও, সাবেক পাকিস্তানি স্পিনার দানেশ কানেরিয়া মনে করছেন, ভারত আসলে পাকিস্তানকে কৌশলে 'ললিপপ' ধরিয়ে দিয়েছে। কানেরিয়ার মতে, ২০২৭ সালের আগে ভারত ২০২৫ সালের নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজন করবে এবং ২০২৬ পুরুষদের বিশ্বকাপ শ্রীলঙ্কার সাথে যৌথভাবে আয়োজন করবে, ফলে ভারতের তেমন কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। অন্যদিকে, ২০২৮ সালের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক পাকিস্তান।
পিসিবির ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে কানেরিয়া বলেন, “বিসিসিআই এই পরিস্থিতিকে পুরোপুরি নিজেদের অনুকূলে নিয়ে নিয়েছে। পাকিস্তান দাবি করছে তারা 'লড়াই করে জিতেছে', কিন্তু বাস্তবে তারা কিছুই লাভ করেনি। তারা আসলে 'ললিপপ' ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, "নারী বিশ্বকাপ থেকে হাইব্রিড মডেলই একমাত্র সমাধান ছিল। পাকিস্তান বলেছে, তারা ভারতে খেলতে যাবে না, তবে সময়ই বলবে। পাকিস্তান বর্তমানে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মুখে, আর যদি কোনো সমস্যা তৈরি হয়, তাহলে পুরো টুর্নামেন্ট দুবাইয়ে স্থানান্তরিত হতে পারে।"
কানেরিয়া আরও আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “মজার বিষয় হলো, যদি ভারত-পাকিস্তান উভয়ই ফাইনালে ওঠে, তবে তাদের দুবাইয়ে খেলতে হবে। যদি তারা দুবাইতে ফাইনাল খেলতে পারে, তাহলে ভারতে গিয়ে খেলতে সমস্যা কোথায়? পাকিস্তানের উচিত, এখন দেশের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা, যাতে কোনো দল নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে না পারে।”
এভাবে, একদিকে ভারতের পরিকল্পনা দীর্ঘমেয়াদি এবং মুনাফাযোগ্য, অন্যদিকে পাকিস্তানের জন্য অনেকগুলো প্রশ্ন রেখে যায় এই চুক্তি।
এসআর
মন্তব্য করুন: