বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর ছিল এক নতুন ইতিহাসের সূচনা। প্রথমবারের মতো ক্যারিবীয় মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে হোয়াইটওয়াশের রেকর্ড গড়েছে টাইগাররা। আর এই সিরিজে সবচেয়ে উজ্জ্বল পারফরমার ছিলেন অফস্পিনিং অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী হাসান। তার অসাধারণ পারফরম্যান্স পুরস্কৃত হয়েছে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বোলারদের র্যাংকিংয়ে, যেখানে তিনি এক লাফে ১৩ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন দশম স্থানে।
অসাধারণ পারফরম্যান্সে র্যাংকিংয়ে সাফল্য :
সিরিজের তিন ম্যাচেই ব্যাট-বলে দারুণ কার্যকর ছিলেন শেখ মেহেদী। প্রথম ম্যাচে মাত্র ১৩ রানে ৪ উইকেট শিকার করে বল হাতে ক্যারিবীয়দের ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেন। পরে ২৪ বলে অপরাজিত ২৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান।
দ্বিতীয় ম্যাচেও তার কার্যকারিতা অটুট ছিল। ব্যাট হাতে ১১ বলে ১১ রান করার পর বল হাতে ২০ রানে ২ উইকেট নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন। শেষ ম্যাচে ব্যাটিংয়ে রান না পেলেও বল হাতে আরও একবার নিজের দক্ষতার প্রমাণ দেন। ১৩ রানে ২ উইকেট শিকার করে দলকে সিরিজের শেষ জয় উপহার দেন। সবমিলিয়ে তিন ম্যাচে ৩৭ রান দিয়ে ৮ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি।
তাসকিন-রিশাদের বড় লাফ:
মেহেদীর ঠিক পরেই ১১ নম্বরে রয়েছেন বাংলাদেশ দলের আরেক বোলার তাসকিন আহমেদ। তিন ম্যাচে ৭ উইকেট শিকার করে তিনি র্যাংকিংয়ে ৭ ধাপ এগিয়েছেন। এ ছাড়া লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন ২১ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ১৭তম স্থানে। তিন ম্যাচে ৬ উইকেট শিকার করা এই তরুণ বোলার নতুন প্রতিভার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। পেসার হাসান মাহমুদও ২৩ ধাপ এগিয়ে এখন রয়েছেন ২৪ নম্বরে।
অন্যদিকে বাংলাদেশের ব্যাটিং র্যাংকিংয়ে হতাশা যেন নিয়মিত। বাংলাদেশের বোলাররা যেখানে র্যাংকিংয়ে উজ্জ্বল, সেখানে ব্যাটিং র্যাংকিংয়ে সেরা ত্রিশেও জায়গা হয়নি কোনো টাইগার ব্যাটসম্যানের। তাওহিদ হৃদয়, যিনি এই সিরিজে খেলেননি, দুই ধাপ পিছিয়ে ৩১তম স্থানে নেমে গেছেন। লিটন দাসও এক ধাপ পিছিয়ে রয়েছেন ৪৭তম অবস্থানে।
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য এই সিরিজ ছিল এক যুগান্তকারী অধ্যায়। ক্যারিবীয় মাটিতে সিরিজ জেতা এবং র্যাংকিংয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি টাইগারদের সাম্প্রতিক উন্নতির প্রমাণ। বিশেষ করে শেখ মেহেদীর সেরা দশে প্রবেশ এবং তাসকিন, রিশাদ, ও হাসানের বড় লাফ দেশের বোলিং শক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী হওয়ার কারণ তৈরি করেছে।
এবারের সাফল্য বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য যেমন গর্বের, তেমনই ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি ধরে রাখার চ্যালেঞ্জও বটে।
এসআর
মন্তব্য করুন: