বাংলাদেশের ফুটবলের ইতিহাসে সোনালী অতীত ক্লাব একটি বিশেষ নাম। এই ক্লাবে খেলেছেন দেশের ফুটবলের গৌরবময় দিনের তারকা খেলোয়াড়রা। আজ বুধবার ধানমন্ডির শেখ জামাল মাঠে অনুষ্ঠিত হলো সোনালী অতীত ক্লাবের দুই শাখা—ঢাকা সোনালী অতীত ও রংপুর সোনালী অতীতের প্রীতি ম্যাচ। ম্যাচটি কেবল একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং দেশের ফুটবল ঐতিহ্যকে উদযাপন করার এক অনন্য সুযোগ হয়ে উঠেছিল।
নকীবের গোলে ঢাকার জয়। ম্যাচে প্রথম থেকেই আধিপত্য দেখায় ঢাকা সোনালী অতীত। সাবেক জাতীয় দলের স্ট্রাইকার ও অধিনায়ক নকীবের অনুপ্রেরণায় দলটি ১-০ গোলে জয়লাভ করে। ম্যাচের একমাত্র গোলটি আসে নকীবের পায়ের জাদু থেকে, যা মাঠে থাকা দর্শকদের স্মৃতিকাতর করে তোলে। নকীবের নেতৃত্বে আলফাজ, আরমানসহ তারকা খচিত দলটি ম্যাচ জুড়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে।
এ যেন এক কিংবদন্তিদের মিলনমেলা। এদিন মাঠে উপস্থিত ছিলেন দেশের ফুটবলের একঝাঁক কিংবদন্তি। সাবেক জাতীয় দলের তারকা খেলোয়াড় গোলাম সারোয়ার টিপু, মোসাব্বের হোসেন, খোরশেদ বাবুল, আতাউর রহমান আতা, মাহমুদুর রহমান টিটু, জাকারিয়া পলাশ, সাইদ হাসান কানন, রাকিবুজ্জামান রাকিব, মাসুদ পারভেজ টিটু, আবুল হোসেনসহ আরও অনেকে এই মিলনমেলাকে স্মরণীয় করে তোলেন।
তাদের উপস্থিতি শুধু ম্যাচটিকে রঙিনই করেনি, বরং প্রমাণ করেছে—"ফর্ম ইজ টেম্পোরারি, ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট।" তাদের প্রত্যেকেই ফুটবলের প্রতি নিজেদের ভালোবাসা ও অঙ্গীকারের উদাহরণ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
এ ধরনের ম্যাচ কেবল নস্টালজিয়ায় ভরা একটি মুহূর্তই নয়, বরং বাংলাদেশের ফুটবলের ঐতিহ্য, গৌরব এবং ভবিষ্যতের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের একটি প্ল্যাটফর্ম। এ ধরনের আয়োজন নতুন প্রজন্মের ফুটবলপ্রেমীদের কাছে ফুটবল ঐতিহ্য তুলে ধরার ক্ষেত্রে একটি কার্যকর ভূমিকা রাখে।
ধানমন্ডির মাঠে ঢাকার জয়ের পাশাপাশি ফুটবলপ্রেমীরা উপভোগ করেছেন তাদের স্মৃতির পাতা থেকে উঠে আসা এক ঝাঁক সুপারস্টারের খেলা। ভবিষ্যতে এমন আরো আয়োজনের মাধ্যমে ফুটবল ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ ও উদযাপন করার প্রত্যাশা রয়েছে ক্রীড়াপ্রেমীদের।
এসআর
মন্তব্য করুন: