অবশেষে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলতে যাচ্ছেন হামজা চৌধুরী। এই সাফল্যের পেছনে দুজনের অবদান বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে নতুন এক অধ্যায় লিখতে চলেছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ফুটবলার হামজা চৌধুরী। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে খেলতে যাচ্ছেন, যা দেশের ফুটবলপ্রেমীদের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
কিন্তু হামজার বাংলাদেশে খেলার সম্ভাবনা প্রথম জানা গেলো কিভাবে? এর পেছনে দুটি বিশেষ নাম রয়েছে: আরেফিন জিসান ও রাশেদুল ইসলাম।
আরেফিন জিসান: ফুটবল কমিউনিটির পরিচিত নাম আরেফিন জিসান, পেশায় ডাক্তার হলেও ফুটবলের প্রতি তার আগ্রহ ও ভালোবাসা সবারই জানা। তিনি বাংলাদেশী ফুটবল কমিউনিটির একটি পরিচিত নাম। একদিকে তার চিকিৎসক সত্ত্বা, অন্যদিকে ফুটবল নিয়ে তার অনুরাগ তাকে অনেক ফুটবল গ্রুপে জনপ্রিয় করেছে। হামজা চৌধুরীর বাংলাদেশে খেলার সম্ভাবনা প্রথমে তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করেন, যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশী ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে। হামজার দেশের হয়ে খেলার স্বপ্নের সূচনা এখান থেকেই।
জিসান বলেন, "বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়দের খুঁজে বের করে তাদের জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করা, বাংলাদেশের ফুটবলকে বিশ্ব মঞ্চে তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। ভবিষ্যতেও আমি এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব এবং দেশের তরুণ প্রতিভাদের জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টি করবো।"
তিনি আরও জানান, তার উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের জাতীয় দলে যোগ্য ফুটবলারদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা, যাতে বাংলাদেশের ফুটবলকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও শক্তিশালী করা যায়।
রাশেদুল ইসলাম: ক্রীড়া সাংবাদিক ও সাবেক ফুটবলার রাশেদুল ইসলামও হামজার বাংলাদেশের জন্য খেলার সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করেছেন। ২০১৯ সালে তিনি লেস্টার সিটির এই মিডফিল্ডারের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেন, যেখানে হামজা নিজে দেশের হয়ে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশেদুল ইসলাম নিয়মিতভাবে হামজার পরিবারের সাথে যোগাযোগ রেখে তার সর্বশেষ আপডেটগুলো ফুটবলপ্রেমীদের কাছে পৌঁছে দেন। এই যোগাযোগের মাধ্যমে বাফুফে (বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন) হামজার সাথে যোগাযোগ শুরু করে, এবং তার পরেই বাংলাদেশের জার্সি পরার পথ আরো সহজ হয়।
আজ হামজা চৌধুরী যখন বাংলাদেশের জার্সি গায়ে চাপাচ্ছেন, তখন এই দুজনের অবদানও অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। তাদের প্রচেষ্টার ফলেই ফুটবলপ্রেমীরা আজ দেখছেন দেশের হয়ে খেলতে যাচ্ছেন এক আন্তর্জাতিক তারকা।
হামজা চৌধুরী যখন বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায় লিখতে যাচ্ছেন, তখন এই দুজনের নিরলস পরিশ্রম ও ভালোবাসা স্মরণীয় করে রাখার মতো। বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা আজ তাদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকতেই পারে, এবং ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নতির জন্য তাদের অবদান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: