শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ঢাকার জলসিড়ি আবাসন প্রকল্পে আয়োজিত হলো ‘বিওএ ম্যারাথন ২০২৪’। এটি দেশের অন্যতম বৃহৎ ম্যারাথন ইভেন্ট হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে।
ম্যারাথনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এসবিপি, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, “এই ধরনের আয়োজন জনসাধারণকে শারীরিকভাবে সচেতন করার পাশাপাশি যুবসমাজকে ক্রীড়ামুখী করে তুলবে। এ আয়োজন দেশের ক্রীড়া অগ্রগতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।”
‘বিওএ ম্যারাথন ২০২৪’-এ অংশগ্রহণ করেন মোট ৫,১১৬ জন প্রতিযোগী। এ প্রতিযোগিতা ৩টি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত ছিল—পুরুষ, নারী, এবং কিশোর-কিশোরী। ম্যারাথনের ভেন্যু জলসিড়ি প্রকল্পের মনোরম পরিবেশ প্রতিযোগীদের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক হয়ে উঠেছিল। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শুধুমাত্র প্রতিযোগিতামূলক উদ্দীপনা নয়, বরং সুস্থ জীবনধারার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করাই ছিল এর প্রধান উদ্দেশ্য। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনার ফলে ম্যারাথনটি সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়।
আয়োজকরা জানান, অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর একাধিক ইউনিট মাঠে ছিল। এছাড়া, প্রতিযোগিতার সময় দর্শকদের জন্য বিনোদনমূলক আয়োজন এবং স্বেচ্ছাসেবকদের সক্রিয় ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বিওএ-এর শীর্ষ কর্মকর্তা, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের চেয়ারম্যান এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন সেনাবাহিনী প্রধান। এসময় তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে বিওএ ম্যারাথনকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে, যাতে বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের ক্রীড়া উন্নয়ন তুলে ধরা যায়।
‘বিওএ ম্যারাথন ২০২৪’ শুধুমাত্র একটি প্রতিযোগিতা ছিল না; এটি ছিল একটি সেতুবন্ধন, যেখানে ক্রীড়ার মাধ্যমে সামাজিক ঐক্য এবং স্বাস্থ্য সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: