টেস্ট সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ হওয়ার পর ওয়ানডে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে যায় বাংলাদেশ।
তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজে সেই হার শোধ নেওয়ার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের সামনে। লিটন দাসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ক্যারিবীয়দের নিজেদের মাঠে ধবলধোলাই করেছে। সিরিজের শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮০ রানে হারিয়ে বাংলাদেশ ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয়।
সেন্ট ভিনসেন্টে অনুষ্ঠিত তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৯০ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করানোর পর বাংলাদেশ ১০৯ রানে তাদের গুঁটিয়ে দেয়। বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন জাকের আলী, যিনি ৪১ বলে ৬ ছক্কা ও ৩ চারে ৭২ রান করে দলের সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
প্রথম দুই ম্যাচের স্লো উইকেটে রান করা কঠিন হলেও তৃতীয় ম্যাচে উইকেট ব্যতিক্রম ছিল। ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করে এবং শুরু থেকেই চাপ সৃষ্টি করে। লিটন দাস দ্রুত ১৪ রান করে আউট হলেও পারভেজ হোসেন ইমন ২১ বলে ৩৯ রান করে দলের রানের গতি ধরে রাখেন। তবে দ্রুত রান করার পরেও বাংলাদেশ নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। মেহেদী হাসান মিরাজ ২৩ বলে ২৯ রান করে আউট হন, এরপর জাকের আলী দায়িত্ব তুলে নেন। যদিও শামীম হোসেনের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে তিনি রানআউট হন, কিন্তু টিভি আম্পায়ারের কল্যাণে ফের মাঠে ফিরে যান। এরপর তার বিধ্বংসী ইনিংসে বাংলাদেশ ১৮৯ রানে পৌঁছায়।
বল হাতে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। প্রথমে ৭ রানে দুই উইকেট তুলে নিয়ে ক্যারিবীয়দের চাপে ফেলে দেয় বাংলাদেশ। যদিও নিকোলাস পুরান ও জনসন চার্লস কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন, তবে শেখ মাহেদী ও রিশাদ আলীর দুর্দান্ত বোলিংয়ে তাদের দ্রুত সাজঘরে পাঠানো হয়। পুরান ১৫ রানে আউট হলে, পরপর রানআউট ও উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপদ বাড়ে। শেষ পর্যন্ত তারা ১০৯ রানে অলআউট হয়ে যায়।
রিশাদ ৩ উইকেট নিয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন, তাসকিন ও শেখ মাহেদী দুটি করে উইকেট নেন। এর ফলে বাংলাদেশ ম্যাচটি ৮০ রানের ব্যবধানে জয়ী হয় এবং সিরিজে হোয়াইটওয়াশ নিশ্চিত করে।
এসআর
মন্তব্য করুন: