কুমিল্লার ভাষা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে এক রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীকে ১-০ গোলে হারিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে শীর্ষে উঠেছে মোহামেডান। অধিনায়ক সোলেমান দিয়াবাতে দলের জয়সূচক গোলটি করেন, যা প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে আসে। বাম দিক থেকে মিনহাজ রাকিবের নিখুঁত ক্রসে দুর্দান্ত এক হেডে বল জালে জড়ান মালির এই স্ট্রাইকার।
প্রথমার্ধে মোহামেডান এগিয়ে গেলেও, দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে ওঠে আবাহনী। শেষ ১০ মিনিটে তারা মোহামেডানের রক্ষণভাগে তীব্র চাপ সৃষ্টি করে। ইনজুরি সময়ে আরমান ফয়সালের আকাশ থেকে পাওয়া এক সুযোগ জালে পাঠানো হলেও অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল হয়।
ম্যাচের ৭৪তম মিনিটে দিয়াবাতে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে সানডের পাস থেকে নেওয়া তার শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। আবাহনী পুরো ম্যাচে বিদেশি খেলোয়াড় ছাড়া খেললেও তাদের লড়াই ছিল প্রশংসনীয়।
এই জয়ে মোহামেডান তিন ম্যাচে পূর্ণ ৯ পয়েন্ট সংগ্রহ করে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠেছে। প্রিমিয়ার লিগে এটি তাদের টানা দ্বিতীয় জয় আবাহনীর বিপক্ষে। গত মৌসুমেও আবাহনীকে হারিয়েছিল মোহামেডান। এবারও একই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে।
বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে দ্বিতীয় রাউন্ডের জয় এবং ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনীকে হারানো—এই দুই বড় জয়ের ফলে প্রথম পর্বের শেষে শীর্ষে থাকার সম্ভাবনা দৃঢ় করেছে মোহামেডান।
আবাহনীর জন্য এটি ছিল তিন ম্যাচে প্রথম হার। মোহামেডানের অধিনায়ক দিয়াবাতে এবং রাকিবের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দলকে এই গুরুত্বপূর্ণ জয় এনে দিয়েছে। ম্যাচ শেষে মোহামেডানের কোচ বলেন, "ছেলেরা দলগতভাবে খেলেছে এবং গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে সুযোগ কাজে লাগিয়েছে। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই।"
মোহামেডানের এই জয়ে দলটির সমর্থকদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ দেখা দিয়েছে। তবে আবাহনী এখনও ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আশাবাদী।
"এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক হার, তবে আমাদের লক্ষ্য পরবর্তী ম্যাচগুলোতে শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসা," বলেছেন আবাহনীর কোচ।
মোহামেডান তাদের বাকি ম্যাচগুলোয় ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে এই মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম শক্তিশালী প্রতিযোগী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: