কিংসটনে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের শেষ ম্যাচে নিজেদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় দিন শুরু করে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে হতাশার পর, বোলিংয়েও সুবিধা করতে পারেনি সফরকারীরা। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৬৪ রানে অলআউট হওয়ার পর ক্যারিবীয়দের ব্যাটিংয়ে চাপ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছে টাইগাররা।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১ উইকেট হারিয়ে ৭০ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এখনো তারা ৯৪ রানে পিছিয়ে আছে, তবে হাতে রয়েছে ৯ উইকেট।
আগের দিন বাংলাদেশ তুলেছিল ৪ উইকেটে ১০৫ রান। দিনের শুরুতে সাদমান ইসলাম ও শাহাদাৎ হোসেন দীপুকে ঘিরে অনেক আশা ছিল। আগের দিনের সতর্ক ব্যাটিংয়ের ধারা ধরে রেখে সকালে ভালো শুরুর ইঙ্গিতও দেন তারা। তবে সেই স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
খেলার ১৫ মিনিট আগে শুরু হওয়া দিনটিতে প্রথম ধাক্কা দেন শামার জোসেফ। তার দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে যান দীপু। ৮৯ বল খেলে মাত্র ২২ রান করেন তিনি। তাদের ১৯৩ বলে গড়া ৭৩ রানের জুটি ভাঙতেই ছন্দপতন ঘটে বাংলাদেশের।
এরপর দ্রুত ধসে যায় বাংলাদেশের মিডল অর্ডার। লিটন দাস ৬ বলে ১ রান করে জেডন সিলসের বলে স্লিপে ক্যাচ দেন। জাকের আলি অনিক ১০ বল খেলে ১ রান করে শামার জোসেফকে পুল করতে গিয়ে আউট হন।
এমন পরিস্থিতিতে কিছুটা আশা জাগিয়েছিলেন সাদমান ইসলাম। ১৩৭ বল খেলে ৬৪ রান করে দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন তিনি। তবে শামার জোসেফের আরেকটি দুর্দান্ত ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনিও।
এরপর কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তাদের ১১৬ বলের জুটিতে আসে ৪১ রান। ৬৬ বল খেলে ১৬ রান করে তাইজুল বিদায় নিলে ভেঙে যায় এই জুটি। অন্যদিকে, মিরাজ ৭৫ বল খেলে ৩৬ রান করেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জেডন সিলস নেন ৪ উইকেট, আর শামার জোসেফের ঝুলিতে জমা পড়ে ৩ উইকেট।
১৬৪ রানে অলআউট হয়ে বোলিংয়ে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আসেনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ও মিকাইল লুইয়ের সাবধানী শুরুতে উইকেটের জন্য ছটফট করে বাংলাদেশ।
অবশেষে নাহিদ রানার বলে মিকাইল লুই (১৫) উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে প্রথম ব্রেকথ্রু আসে। তবে এরপর ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ও ক্যাসি কার্টি মিলে বাকিটা সময় নির্বিঘ্নে পার করেন।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ব্র্যাথওয়েট ১১৫ বলে ৩৩ রানে এবং কার্টি ৬০ বলে ১৯ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
বাংলাদেশের জন্য তৃতীয় দিনটি বেশ কঠিন হতে যাচ্ছে। ব্যাটিং লাইনআপের ব্যর্থতার পর বোলিংয়েও ধারাবাহিকতা না থাকায় চাপ বাড়ছে দলের ওপর। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এখনো পিছিয়ে থাকলেও তাদের হাতে পর্যাপ্ত উইকেট রয়েছে।
ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ফিরিয়ে আনতে হলে তৃতীয় দিনে বল হাতে বিস্ময় দেখাতে হবে বাংলাদেশকে। তবে এ মুহূর্তে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ স্পষ্টতই স্বাগতিকদের হাতেই।
এসআর
মন্তব্য করুন: