[email protected] মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
১৬ পৌষ ১৪৩১

হাইব্রিড মডেল প্রত্যাখ্যান করলো পাকিস্তান

ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ১১:২০ পিএম
আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ১১:৩৩ পিএম

আইসিসির চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজক নিয়ে চলমান অচলাবস্থা আরও গভীর হলো, যখন বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) আইসিসির সভায় প্রস্তাবিত হাইব্রিড মডেল প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তান। এতে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি ক্রিকেট বিশ্ব।

চলমান আলোচনায় মূল ইস্যু ছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক দেশের প্রশ্ন—পাকিস্তান কি এই গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে, নাকি অন্য কোনো দেশকে দায়িত্ব দিতে হবে। ভারত চাচ্ছিলো, পাকিস্তানের মাটিতে হবে কিছু ম্যাচ, তবে ভারতের ম্যাচসহ সেমিফাইনাল ও ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে অন্য দেশে। ভারত এমন এক মডেল চাইছিল যা গত এশিয়া কাপে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত ম্যাচগুলোর মতো হাইব্রিড মডেল হবে। পাকিস্তান প্রথম থেকেই এর বিরোধিতা করছিল, কারণ তাদের মতে পুরো টুর্নামেন্ট পাকিস্তানে হওয়া উচিত।

আইসিসি সভায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) আইসিসি প্রস্তাবিত হাইব্রিড মডেল গ্রহণ করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। আইসিসি, ক্ষতিপূরণসহ এই মডেলে আয়োজনে সম্মত হলেও পাকিস্তান সেই প্রস্তাবে না বলেছে। অনলাইনে অনুষ্ঠিত এই সভায় ১৫টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছিলেন, এবং সভা ছিল মাত্র ২০ মিনিটের—যতটুকু সময়েই পাকিস্তান নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকার ব্যাপারে স্পষ্ট করে দেয়।

পিসিবির একাধিক সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তান এই সভায় ভারতকে লাহোরে ম্যাচ আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে। ভারতের সীমান্ত থেকে লাহোর খুব কাছেই হওয়ায়, তারা জানিয়েছিল যে ভারতীয় দল লাহোরে গিয়ে ম্যাচ খেলতে পারবে এবং দ্রুতই দেশে ফিরে যেতে পারবে। তবে এই প্রস্তাবে একমত হয়নি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তাদের দলের নিরাপত্তা এবং সফর সংক্রান্ত পরিস্থিতি নিয়ে নানা উদ্বেগ রয়েছে।

সভায় কোনো সমঝোতা না হওয়ার পরেও দেশগুলো আবারও আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে এবং পরবর্তী সভার জন্য নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ইস্যুতে পাক-ভারত দ্বন্দ্বের সমাধান এখনও দূরবর্তী বলে মনে হচ্ছে।

এই পরিস্থিতি সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আইসিসি এবং সংশ্লিষ্ট দেশের মধ্যে আরও আলোচনার প্রয়োজন হবে। পাকিস্তান এবং ভারতসহ অন্যান্য ক্রিকেটশক্তির মধ্যে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের বিষয়ে শীঘ্রই কোনো স্থায়ী সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর