চ্যাম্পিয়ন্স লিগের উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে অ্যাস্টন ভিলা বুধবার রাতে জুভেন্টাসকে ০-০ গোলে আটকে দিয়েছে। ম্যাচটি ছিল দুই দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হওয়ায় উভয় দলই ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে। বিশেষ করে শেষ মুহূর্তে ভিলার মর্গান রজার্সের গোল বাতিল হওয়া ছিল ম্যাচের সবচেয়ে বিতর্কিত মুহূর্ত।
প্রথম থেকেই অ্যাস্টন ভিলা আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে। লুকাস দিগনের একটি ফ্রি কিক প্রথমার্ধের শেষ দিকে ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে, যা ভিলার বড় সুযোগগুলোর একটি ছিল। অন্যদিকে, জুভেন্টাস তাদের রক্ষণ সামলাতেই ব্যস্ত ছিল, তবে মাঝেমধ্যে পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করে। দুই দলের গোলকিপাররাই প্রথমার্ধে নিজেদের কাজ যথাযথভাবে করেছেন।
দ্বিতীয়ার্ধে জুভেন্টাস এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পায় ফ্রান্সিসকো কনসেইসাওর কর্নার থেকে। তবে ভিলার গোলকিপার এমি মার্টিনেজ তার প্রতিভার পরিচয় দিয়ে দুর্দান্ত একটি সেভ করেন। এই সেভের ফলে বল গোললাইন অতিক্রম করতে পারেনি, যা টিভি রিপ্লেতে নিশ্চিত হয়।
ম্যাচের সবচেয়ে বিতর্কিত মুহূর্ত আসে ৮৭তম মিনিটে। মর্গান রজার্স ফ্রি কিক থেকে বল জালে পাঠালেও জুভেন্টাস গোলকিপার মিশেল ডি গ্রেগোরিওর ওপর ফাউল হওয়ায় রেফারি গোলটি বাতিল করেন। রায়ের পরে ভিলা ভক্তদের মধ্যে হতাশা ছড়িয়ে পড়ে। ম্যাচ শেষে ভিলার কোচ উনাই এমেরি বলেন, "ইংল্যান্ডে এ ধরনের ফাউল খুব কমই ফেলা হয়, কিন্তু ইউরোপীয় মান অনুযায়ী এটি ফাউল হতে পারে।"
ভিলার খেলোয়াড়রা রক্ষণ এবং আক্রমণ উভয় ক্ষেত্রেই তাদের সেরাটা দিতে চেষ্টা করেছে। লিওন বেইলির একটি ক্রস থেকে জন ম্যাকগিন সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু তার শট জুভেন্টাসের ডিফেন্ডার লোকাতেলি ব্লক করে দেন। অপরদিকে, জুভেন্টাস তাদের বল দখলে রাখার কৌশল সফল করলেও গোলের সংখ্যা বাড়াতে ব্যর্থ হয়।
গোলশূন্য ড্রয়ের ফলে জুভেন্টাস তাদের গ্রুপে শীর্ষস্থান ধরে রাখলেও ভিলার প্রতিরোধী মানসিকতা এবং সংগঠিত রক্ষণ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। ম্যাচটি থেকে ভিলার আত্মবিশ্বাস বেড়েছে, যা পরবর্তী ম্যাচগুলোতে তাদের পারফরম্যান্সকে অনুপ্রাণিত করতে পারে।
এসআর
মন্তব্য করুন: