ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) আগামী ২৯ নভেম্বর শুক্রবার অনলাইন বোর্ড মিটিংয়ের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এই মিটিংটি আয়োজিত হচ্ছে কারণ ভারতের পাকিস্তানে না যাওয়ার সিদ্ধান্তের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। আইসিসি বোর্ড সদস্যদের মধ্যে যে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হবে, তা সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে মেনে চলতে হবে।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) আগে থেকেই জানিয়েছে, তারা ফেব্রুয়ারী ১৯ থেকে মার্চ ৯ পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য ১৫ ম্যাচের এই প্রতিযোগিতায় হাইব্রিড মডেল গ্রহণ করতে রাজি নয়। তবে, আইসিসি মনে করছে যে তাদের হাতে খুব বেশি বিকল্প নেই। হাইব্রিড মডেল অনুযায়ী, ১০টি ম্যাচ পাকিস্তানে এবং ৫টি ম্যাচ অন্য কোনো দেশে অনুষ্ঠিত হবে, যার মধ্যে একটি সেমিফাইনাল এবং ফাইনালও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
আইসিসি যদি এই মডেল প্রস্তাব করে, তবে পাকিস্তানে সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল আয়োজন করার পরিকল্পনা করা হতে পারে, যদি ভারত শেষ চারের মধ্যে না পৌঁছায়। তবে, এমন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পিসিবির জন্য কিছু চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে, বিশেষ করে লজিস্টিক এবং অপারেশনাল বিষয়গুলো নিয়ে।
এখন পর্যন্ত আইসিসি এই বিষয় নিয়ে অনির্ধারিত অবস্থায় রয়েছে, বিশেষ করে ভারতীয় ম্যাচগুলো কোথায় অনুষ্ঠিত হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। সংযুক্ত আরব আমিরাত (দুবাই ও আবুধাবি) এবং দক্ষিণ আফ্রিকা উভয়ই সম্ভবনাময় বিকল্প হিসেবে রয়েছে, যেহেতু ওই সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকার আবহাওয়া অনুকূল থাকবে।
এদিকে, পিসিবি প্রথমে হাইব্রিড মডেল গ্রহণে রাজি না হলেও, আইসিসি বোর্ডের বিপুল সমর্থন দেখে তারা হয়তো আপাতত সম্মতি জানাবে। আর যদি এই মডেল বাতিল হয়, তবে পুরো টুর্নামেন্ট পাকিস্তান থেকে সরিয়ে অন্য কোথাও স্থানান্তরিত হতে পারে।
এমন পরিস্থিতি তৈরির পর, পিসিবি প্রধান মোহসিন নকভি সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন এবং সরকারের কাছে বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে পারেন। এছাড়া, পাকিস্তান যদি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিরত থাকে, তবে তা তাদের জন্য আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। কারণ, টুর্নামেন্ট পাকিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়া হলে পিসিবি কোটি কোটি ডলার হারাবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: