অ্যান্টিগায় চলমান প্রথম টেস্টে তাসকিন আহমেদ তার টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ফিগার তুলে নিয়ে ক্রিকেট ভক্তদের মুগ্ধ করেছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের ৬ উইকেট শিকার করেন, মাত্র ৬৪ রানে। তার এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৫২ রানে অলআউট হয় এবং বাংলাদেশের সামনে জয়ের জন্য ৩৩৪ রানের লক্ষ্য নির্ধারণ করে।
তাসকিনের বোলিং শুরু থেকেই ধারাবাহিক ছিল। প্রথম সেশনে নতুন বলে ক্যারিবীয় ব্যাটিং লাইনআপে চাপ সৃষ্টি করেন তিনি। তার বোলিংয়ে মাইকাইল লুইস ও কেসি কার্টি দ্রুত ফিরে যান। দ্বিতীয় সেশনে আবার তিনি ক্যাভেম হজ ও জাস্টিন গ্রিভসকে আউট করেন, যেটি বাংলাদেশের লড়াইয়ে ফিরে আসার আশা জাগায়।
তার বোলিংয়ের হাইলাইট ছিল সঠিক লাইন-লেন্থে ধারাবাহিক চাপ এবং ব্যাটসম্যানদের জন্য একের পর এক প্রশ্ন তৈরি করা। টেলএন্ডারদের দ্রুত ফিরিয়ে ক্যারিবীয় ইনিংস শেষ করে দেন তাসকিন। তাসকিনের এই পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করলেও ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে তা বাস্তবে রূপ পায়নি।
চতুর্থ দিনের সকালে বাংলাদেশের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ২৬৯/৯ স্কোরে ইনিংস ঘোষণা করে চমক দেন। তবে, ১৮১ রানের ঘাটতি নিয়েও সাহসী এই সিদ্ধান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি করে। তাসকিনের বলের সুনিপুণ লাইন ও লেন্থ বারবার ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষা নিয়েছে। তিনি প্রথম ইনিংসে নিজের প্রথম টেস্ট পাঁচ উইকেট শিকারে পরিণত করেন এবং সবমিলিয়ে ছয় উইকেট নিয়ে ক্যারিবীয়দের সংগ্রহকে ১৫২ রানে থামিয়ে দেন।
তাসকিন প্রথম সেশনে নতুন বলে মাইকাইল লুইস এবং কেসি কার্টিকে দ্রুত ফেরান। পাশাপাশি, শরিফুল ইসলাম ক্যারিবীয় অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে আউট করেন, যিনি ৩৫ বলে ২৩ রান করেন। লাঞ্চ বিরতির সময় স্কোর দাঁড়ায় ৬১/৩।
দ্বিতীয় সেশনে ক্যাভেম হজ ও এলিক আথানাজ প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন, তবে তাসকিন ও মিরাজের বোলিংয়ে দ্রুত ভেঙে পড়ে ক্যারিবীয় লাইনআপ। তাসকিন তার ছয় উইকেট শিকার সম্পন্ন করেন শামার জোসেফ এবং কেমার রোচকে আউট করে। ফলে বাংলাদেশের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৩৪ রান।
তবে ব্যাটিংয়ে আবারো ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। কেমার রোচ ও জেডেন সিলসের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ৩১ ওভারে ১০৯ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ। মিরাজ ৪৫ রান করে কিছুটা লড়াই করলেও রোচ ও সিলসের তিনটি করে উইকেট শিকার বাংলাদেশকে চাপে ফেলে দেয়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২৬৯/৯ ডিক্লেয়ার এবং ১০৯/৭ (মেহেদী হাসান মিরাজ ৪৫; কেমার রোচ ৩-২০, জেডেন সিলস ৩-৩১)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪৫০/৯ ডিক্লেয়ার এবং ১৫২ (এলিক আথানাজ ৪২; তাসকিন আহমেদ ৬-৬৪, মেহেদী হাসান মিরাজ ২-৩১)
জয়ের জন্য প্রয়োজন: ২২৫ রান।
এসআর
মন্তব্য করুন: