বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা তাদের ইনিংসের শুরু ভালো হলেও সেটিকে বড় রানে পরিণত করতে পারছেন না, যা দলকে বারবার চাপে ফেলছে বলে মত দিয়েছেন সাবেক ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প।
অ্যান্টিগার প্রথম টেস্টে, দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতার ফলে বাংলাদেশ এখন হারের একেবারে কিনারায়। চতুর্থ দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১০৯ রানে ৭ উইকেট, জয়ের জন্য দরকার আরও ২২৫ রান।
ডেভিড হেম্প বলেন, “শুরুটাকে বড় রানে পরিণত করা ব্যাটিংয়ের অপরিহার্য অংশ। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। দ্রুত কোনো সমাধান নেই এবং এটি ব্যাটসম্যানদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টা ছাড়া সম্ভব নয়।”
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে ৪৫০ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে, যেখানে মাইকাইল লুইস ও এলিক আথানাজ দুর্দান্ত খেলেন এবং জাস্টিন গ্রিভস তার প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ২৬৯-৯ স্কোরে ইনিংস ঘোষণা করে। তবে মুমিনুল হক, লিটন দাস এবং জাকের আলী অর্ধশতক পেলেও সেগুলোকে সেঞ্চুরিতে রূপান্তর করতে ব্যর্থ হন।
তিনি জাকের আলীর টেস্ট ক্রিকেটে পারফরম্যান্স নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেন এবং তরুণদের সুযোগ কাজে লাগানোর গুরুত্ব উল্লেখ করেন। হেম্প বলেন, “তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য এটা একটি সুযোগ। অভিজ্ঞদের অনুপস্থিতি তাদের নিজেদের প্রমাণ করার ক্ষেত্র তৈরি করে। জাকের তার সুযোগগুলো কাজে লাগাচ্ছে এবং ধারাবাহিকভাবে অবদান রাখছে।”
বাংলাদেশি ব্যাটিং লাইনআপের এই সংকট মোকাবিলা করার জন্য দায়িত্বশীলতার সঙ্গে পরিকল্পিত ব্যাটিং প্রয়োজন, না হলে ব্যাটিং ব্যর্থতার গন্ডি থেকে বেরোতে পারবে না।
এসআর
মন্তব্য করুন: