[email protected] মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
১৬ পৌষ ১৪৩১

পাকিস্তানে প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে আইসিসি

ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ৩:২৫ পিএম

২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ঘিরে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। টুর্নামেন্ট আয়োজক দেশ পাকিস্তানে ভেন্যু ও প্রস্তুতি পরিদর্শনে যাচ্ছে আইসিসির একটি প্রতিনিধি দল। তবে এই সফরের সময়সূচি নিয়ে এখনো পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

পাকিস্তানের একাধিক গণমাধ্যমের দাবি, আগামী সপ্তাহে আইসিসির প্রতিনিধি দল পাকিস্তান ভ্রমণ করবে। তবে, সফরের আগে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সঙ্গে আলোচনায় বসবে আইসিসি। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনে নতুন করে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ঘিরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা দ্বন্দ্ব নতুন মাত্রা পেয়েছে। ভারত স্পষ্ট জানিয়েছে, তারা পাকিস্তানে গিয়ে খেলবে না। অন্যদিকে, আয়োজক স্বত্ব হারাতে একেবারেই নারাজ পাকিস্তান। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে ক্রিকেট অঙ্গনে।

টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত সূচি এখনো ঘোষণা করেনি আইসিসি। তবে জানা গেছে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের চাপে টুর্নামেন্টটি হাইব্রিড মডেলে বা ভারতের মাটিতে আয়োজনের পরিকল্পনা করছে আইসিসি। এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করছে পিসিবি। পাকিস্তানের ক্রিকেট সমর্থকরাও বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। পিসিবি মনে করে, আইসিসি এভাবে ভারতের পক্ষ নিয়ে তাদের স্বত্বহানি করতে চাইছে।

আইসিসি ঘোষণা করেছে, ২৬ নভেম্বর আফগানিস্তান সফর দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বিশ্ব ভ্রমণ শুরু হবে। তবে পাকিস্তানে গিয়ে খেলবে কি না, তা নিয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট নয়।

এদিকে, কিছুদিন আগে বিসিসিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তারা নাকি অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে অর্থের লোভ দেখিয়ে হাইব্রিড মডেল মেনে নিতে চাপ দিচ্ছে। 

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আইসিসির প্রতিনিধি দল পাকিস্তানের ভেন্যুগুলো ঘুরে দেখার পাশাপাশি পিসিবির প্রস্তুতি পর্যালোচনা করবে। তবে, সফরের আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা এখনো পাওয়া যায়নি।

পিসিবি দাবি করেছে, পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনে তারা সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ভেন্যুগুলো আন্তর্জাতিক মানের এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থাও চূড়ান্ত। তারা আশা করছে, আইসিসি তাদের প্রস্তুতিকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখবে।

টুর্নামেন্ট আয়োজন ঘিরে অচলাবস্থা বিরাজমান। ১০০ দিনেরও কম সময় বাকি থাকা এই টুর্নামেন্ট ঘিরে অচলাবস্থা চলছেই। ভারতের অনাগ্রহ এবং হাইব্রিড মডেলের পরিকল্পনা পুরো বিষয়টিকে আরও জটিল করে তুলেছে। আইসিসি পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রতিনিধি দল পাঠালেও দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা না হলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভবিষ্যৎ অন্ধকারে থাকার আশঙ্কা রয়েছে।

ক্রিকেট বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দুই দেশের কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রভাব থেকে ক্রিকেট মুক্ত রাখতে আইসিসিকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায়, এই দ্বন্দ্ব চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মর্যাদা ক্ষুণ্ন করবে।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর