[email protected] মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
১৬ পৌষ ১৪৩১

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে আয়োজক স্বত্ব নিয়ে চাপে পাকিস্তান, সমাধানহীন আইসিসি

শর্ত জুড়ে দিলো ভারত, না মানলে স্বত্ব হারাবে পাকিস্তান

ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ৩:৪৯ পিএম

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি মাঠে গড়ানোর জন্য মাত্র তিন মাস সময় বাকি, অথচ এখনও নিশ্চিত হয়নি টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত আয়োজন। পাকিস্তানকে আয়োজক দেশ হিসেবে নির্বাচিত করা হলেও ভারতের আপত্তি ও নতুন শর্তের কারণে আয়োজক স্বত্ব হারানোর শঙ্কায় পড়েছে পাকিস্তান।

ভারত জানিয়ে দিয়েছে, তারা কোনোভাবেই পাকিস্তানে গিয়ে ম্যাচ খেলবে না। ভারত দাবি করেছে, তাদের ম্যাচগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজন করতে হবে। অন্যদিকে, পাকিস্তান নিজেদের মাটিতে পুরো টুর্নামেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্তে অটল। ১৯৯৭ সালের পর এই প্রথম কোনো বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে পাকিস্তান। এ জন্য ১৩ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি বিনিয়োগ করেছে তারা। আয়োজক স্বত্ব হারালে এই বিনিয়োগ বিশাল ক্ষতির মুখে পড়বে।

 

আয়োজন নিয়ে ইতিমধ্যে আইসিসি এবং হাইব্রিড মডেল নিয়ে বিতর্ক চলমান। টুর্নামেন্টের আয়োজক এবং সূচি নিয়ে দ্বিধায় রয়েছে আইসিসি। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে গিয়ে সংস্থাটি হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাব তুলেছে। এই মডেলের অধীনে ভারত তাদের ম্যাচগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলবে এবং বাকি ম্যাচগুলো পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে। তবে পাকিস্তান এই প্রস্তাবে রাজি নয়।

 

আইসিসি চায় ভারতের দাবি মেনে হাইব্রিড মডেল বাস্তবায়ন করতে, কারণ টুর্নামেন্টে ভারতের অংশগ্রহণ না থাকলে লাভজনক সম্প্রচার চুক্তিগুলো ঝুঁকিতে পড়বে। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ না খেলার ঘোষণা দেওয়া পাকিস্তানের অবস্থান টুর্নামেন্টের স্টেকহোল্ডারদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ টুর্নামেন্টের মূল আকর্ষণ। এই ম্যাচকে কেন্দ্র করেই সম্প্রচার প্রতিষ্ঠানগুলো স্বত্ব কিনেছে।

পরিস্থিতি সমাধানে ২৬ নভেম্বর আইসিসি জরুরি বোর্ড মিটিং ডাকতে যাচ্ছে। বৈঠকে সদস্য দেশগুলো টুর্নামেন্ট আয়োজনে নতুন কৌশল নিয়ে আলোচনা করবে। পাকিস্তানের বিনিয়োগ ক্ষতির মুখে পড়লে আইসিসি সেই ক্ষতিপূরণের প্রস্তাবও দিতে পারে।

 

আইসিসির বর্তমান নীতিগত অবস্থান ভারতের পক্ষপাতমূলক মনে করছে পাকিস্তান। তবে ভারতের প্রভাবের মুখে আইসিসির সিদ্ধান্তে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী মাসে বিসিসিআই সচিব জয় শাহ আইসিসির নেতৃত্বে আসার পর পাকিস্তানের জন্য পরিস্থিতি আরও কঠিন হতে পারে।

 

পাকিস্তান যদি হাইব্রিড মডেলে রাজি না হয়, তবে টুর্নামেন্ট অন্য দেশে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে। এ সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের জন্য রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিকর হতে পারে। আর আইসিসির ওপর ভারতীয় প্রভাব বাড়তে থাকলে ভবিষ্যতে পাকিস্তানের জন্য এমন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের সুযোগ আরও সীমিত হয়ে যাবে।

এই অবস্থায় পাকিস্তানের সামনে হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাবে সম্মতি দেওয়া বা আয়োজক স্বত্ব হারানোর মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। টুর্নামেন্ট সফল করতে এবং নিজস্ব অবস্থান ধরে রাখতে পাকিস্তানকে কৌশলগতভাবে এগোতে হবে।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর