দীর্ঘ বিরতির পর ক্রিকেটে ফিরেছেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত টি-১০ লিগ দিয়ে মাঠে নামলেও তার নেতৃত্বাধীন বাংলা টাইগার্সের শুরুটা একদমই সুখকর হয়নি। টুর্নামেন্টে টানা দুই ম্যাচ হেরে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে রয়েছে দলটি।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউ ইয়র্ক স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলা টাইগার্স। টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে পুরোপুরি ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সাকিবের দল। তবে শেষদিকে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের দায়িত্বশীল ব্যাটিং ইনিংস দলকে লজ্জার হাত থেকে কিছুটা রক্ষা করে। ১২ বলে ১৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে বাংলা টাইগার্সকে ৬৬ রানের সংগ্রহে পৌঁছান তিনি।
ছোট পুঁজি নিয়েও প্রতিপক্ষকে চেপে ধরার চেষ্টা করেছিল বাংলা টাইগার্স। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই পেসার জস লিটিলের বাজে বোলিং ম্যাচ থেকে তাদের ছিটকে দেয়। তার প্রথম ওভারেই ওয়াইড ও নো বলের ছড়াছড়ি প্রতিপক্ষকে সহজ রান এনে দেয়। যদিও দ্বিতীয় ওভারে ইমরান খানের বলে এভিন লুইসকে আউট করে একটু লড়াইয়ের আভাস দেয় দলটি।
ম্যাচ হারলেও সাকিবের স্পিনে ছিল ঝলক, কিন্তু জয়টােই অধরাই থেকে গেলো। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বল হাতে সাকিব জ্বলে ওঠেন। নিজের প্রথম তিন বলে টানা দুই উইকেট তুলে নিয়ে লড়াই জমিয়ে তোলার ইঙ্গিত দেন এই অভিজ্ঞ স্পিনার। তার শিকার হন নিউ ইয়র্ক স্ট্রাইকার্সের দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যান। কিন্তু সাকিবের এই ঝলক সত্ত্বেও ছোট লক্ষ্য প্রতিপক্ষকে থামাতে পারেনি। ইনিংসের মাত্র ৬ ওভারেই ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় নিউ ইয়র্ক স্ট্রাইকার্স।
সাকিবদের প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও ভালো খেলেও হার এড়াতে পারেনি। এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্যাম্প আর্মির বিপক্ষেও ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছিল বাংলা টাইগার্স। সেই ম্যাচেও ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে সুবিধা করতে পারেনি সাকিবের দল।
দুটি ম্যাচেই ব্যাটিং-বোলিংয়ে সমন্বয়ের অভাবে ভুগছে বাংলা টাইগার্স। প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং ইউনিট ব্যর্থ হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে বোলারদের বাজে পারফরম্যান্স দলকে আরও পেছনে ঠেলে দিয়েছে। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে এখন নিজেদের বাকি ম্যাচগুলোতে ভালো পারফরম্যান্স করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
টি-১০ লিগে জয় অধরা থাকলে সাকিব তার পারফের্মেন্স করে যাচ্ছে নিয়মিত। সাকিব দুই ম্যাচে বল করে ৩৪ রান খরচায় উইকেট শিকার করেন ২টি। সেরা বোলি ফিগার ছিল ১২ রানে ২ উইকেট।
টি-১০ লিগের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে সাকিব আল হাসানের অভিজ্ঞতা এবং পারফরম্যান্স দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও তার পাশে অন্যদেরও দাঁড়াতে হবে। পরবর্তী ম্যাচগুলোতে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নামবে বাংলা টাইগার্স।
এসআর
মন্তব্য করুন: