অ্যান্টিগা টেস্টের দ্বিতীয় দিনে নিজের নামকে বিশেষ এক রেকর্ডের সঙ্গে যুক্ত করলেন বাংলাদেশের পেসার হাসান মাহমুদ। দেশের হয়ে এক বর্ষপঞ্জিতে টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারি পেসারের তালিকায় সবার শীর্ষে এখন তিনি।
নতুন রেকর্ড, পুরনোকে ছাড়িয়ে গেলেন হাসান মাহমুদ। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৮ টেস্টে ২৫ উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ। এই অর্জনের মাধ্যমে তিনি পেছনে ফেলেছেন ২০০৮ সালে শাহাদাত হোসেন রাজিবের গড়া ১৬ বছরের পুরোনো রেকর্ড। সেবছর ৯ টেস্টে ২৩ উইকেট নিয়ে এই কীর্তি গড়েছিলেন শাহাদাত। হাসানের এই রেকর্ড গড়া মাইলফলক ছুঁতে বেশি ম্যাচও লাগেনি।
অ্যান্টিগা টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম ঘণ্টাতেই হাসান এই কীর্তি গড়েন। স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং লাইনআপে দারুণ বোলিং করে তিনি নিজের ২৫তম উইকেট তুলে নেন। তার আগ্রাসী বোলিং স্পেলে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানরা বেশ চাপে পড়ে।
যদিও দেশসেরা এই অর্জন হাসানের, তবে বিশ্বরেকর্ডের চূড়ায় পৌঁছাতে হলে তাকে অনেক দূর যেতে হবে। ১৯৮১ সালে অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি পেসার ডেনিস লিলি ১৩ টেস্টে নিয়েছিলেন ৮৫ উইকেট, যা এখনও এক বর্ষপঞ্জিতে সবচেয়ে বেশি টেস্ট উইকেট নেওয়ার বিশ্বরেকর্ড। সেই রেকর্ডের ধারে-কাছেও এখনও কেউ যেতে পারেননি।
হাসানের এই ধারাবাহিক উন্নতি বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে আশার আলো দেখাচ্ছে। গত বছর চোটের কারণে দীর্ঘ সময় বাইরে থাকা হাসান দারুণভাবে কামব্যাক করেছেন। তার নিয়ন্ত্রিত লাইন-লেংথ, গতি এবং সুইং প্রতিপক্ষের জন্য সমস্যা তৈরি করছে নিয়মিত।
রেকর্ডের পেছনে পরিশ্রম ও অঙ্গীকারবদ্ধ হাসান মাহমুদ। হাসানের সাফল্যের পেছনে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার বাস্তবায়ন। দেশীয় কন্ডিশন থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার আত্মবিশ্বাস এবং দক্ষতা প্রতিনিয়ত তাকে এগিয়ে নিচ্ছে।
এখন প্রশ্ন, হাসান কীভাবে তার ফর্ম ধরে রাখবেন এবং বড় মঞ্চে আরও বড় কীর্তি গড়বেন। তার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বাংলাদেশের পেস আক্রমণে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। দলের জন্য ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করতে পারলে হাসানের নাম আরও অনেক রেকর্ডের সঙ্গে জড়াবে।
২০২৪ ক্রীড়া বছরে হসান মাহমুদের উল্ল্যেখযোগ্য বোলিং এর মধ্যে ৮ ম্যাচ, উইকেট: ২৫, সেরা বোলিং: ৫/৪৫, গড়: ২২.৫৭
এখন দেখার বিষয় হাসান তার বোলিং ধার ধরে রাখার জন্য ভবিষ্যত পরিকল্পনা কতটুকু বাস্তবায়ন করার লক্ষে নিজে প্রস্তুত রাখেন। এই রেকর্ডের পাশাপাশি হাসানের ফোকাস থাকার উচিত প্রতিপক্ষের উইকেট তুলে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেওয়ার। তার এই ফর্ম ধরে রাখতে পারলে ভবিষ্যতে আরও বড় কীর্তি গড়া সময়ের ব্যাপার।
এসআর
মন্তব্য করুন: