ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেড কর্পোরেট অ্যামেচার ক্রিকেটের টি-২০ ফরম্যাটের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ফাইনালে তারা বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে ৫ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে। অন্যদিকে, টি-৪০ ফরম্যাটে লিগ ম্যাচেও জয় তুলে নিয়েছে সেনা কল্যাণ সংস্থা।
পুলিশ স্টাফ কলেজ গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ নৌবাহিনী। তাদের ইনিংসের শুরুটা ধীরগতি হলেও শেষ দিকে ব্যাটার বাশার আলীর ব্যাটিং ঝড়ে বড় সংগ্রহ পায় দলটি। বাশার আলী মাত্র ৪০ বলে ৭১ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস উপহার দেন। তার ইনিংসে ছিল ছয়টি চার ও তিনটি বিশাল ছক্কা। আলিমুল ইসলাম ২০ রান করে দলের স্কোর বোর্ডে গুরুত্বপূর্ণ রান যোগ করেন।
তবে সেনাবাহিনীর বোলাররা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন। হাসান মাহমুদ সৌরভ, আসাদ মিয়া ও নবাব ইসলাম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নিয়ে নৌবাহিনীর রানের গতি শ্লথ করেন। শেষ পর্যন্ত নৌবাহিনী ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে।
জবাবে সেনাবাহিনীর ইনিংসের শুরুটা ছিল আক্রমণাত্মক। রাহাত মল্লিকের ৩০ বলে ৫৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস তাদের জয়ের ভিত গড়ে দেয়। তার ইনিংসে ছিল সাতটি চার এবং দুটি ছক্কার মার। মিডল অর্ডারে কামরুল হাসান অপরাজিত ৩৭ রানের ইনিংস খেলে জয় নিশ্চিত করেন। ফয়সাল কবির করেন ৩৩ রান। সেনাবাহিনী মাত্র ১৮.৩ ওভারে ৫ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। রাহাত মল্লিক তার দারুণ অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন।
অন্যদিকে, কর্পোরেট অ্যামেচার ক্রিকেটের টি-৪০ ফরম্যাটে শনিবার অনুষ্ঠিত লিগ ম্যাচেও দাপট দেখিয়েছে সেনা কল্যাণ সংস্থা। বিকেএসপিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে বিমান বাহিনীকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় সেনা কল্যাণ। প্রতিপক্ষকে শুরু থেকেই চাপে রাখে তাদের বোলাররা।
বিমান বাহিনী ইনিংসের বড় অংশেই ধুঁকেছে। বারিউল মুসাব্বির প্রীতম ও আবু সাঈদ কাজীর টাইট বোলিংয়ে ৩২ ওভারের বেশি টিকতে পারেনি তারা। বিমান বাহিনী ১০৪ রানে অলআউট হয়। সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন মোহাম্মদ জুলফিকার। তারিকুল ইসলাম সাগর করেন ২২ রান। প্রীতম তার বোলিং ঝলকে ২১ রানে ৪ উইকেট নেন। আবু সাঈদ কাজী ১২ রানে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট দখল করেন।
জবাবে, সেনা কল্যাণ সংস্থা ব্যাটিংয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিল। ওপেনার আহমেদ আমান আবিরের ৪৭ বলে ৫৭ রানের দারুণ ইনিংসে ভর করে তারা ১৮.৫ ওভারে ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নেয়। প্রীতম তার দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন।
টি-২০ এবং টি-৪০ ফরম্যাটের ম্যাচগুলোতে দলগুলোর পারফরম্যান্স দেখিয়েছে কর্পোরেট অ্যামেচার ক্রিকেট লিগের প্রতিযোগিতা কতটা উত্তেজনাপূর্ণ। সেনাবাহিনীর ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দলটির প্রস্তুতি এবং দক্ষতাকে তুলে ধরেছে। অন্যদিকে, অন্যান্য দলগুলোরও ভালো পারফরম্যান্স ভবিষ্যতে এই টুর্নামেন্টকে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তুলবে বলে আশা করা যায়।
এসআর
মন্তব্য করুন: