আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা, তারপরই শুরু হবে আইপিএলের মেগা নিলাম। ২৪ ও ২৫ নভেম্বর সৌদি আরবের জেদ্দায় প্রথমবারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে এই জমকালো ইভেন্ট। তবে নিলামের আগেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়ে চমকে দিয়েছে ক্রিকেট ভক্তদের। সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের কারণে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের সাবেক ক্রিকেটার মণীশ পাণ্ডে এবং কর্ণাটকের উদীয়মান তারকা সৃজিত কৃষ্ণন।
বিসিসিআই-এর অভিযোগ, এই দুই ক্রিকেটারের বোলিং অ্যাকশনে গুরুতর সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে মণীশ পাণ্ডে, যিনি কেকেআরের হয়ে আইপিএল জিতেছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, এই সিদ্ধান্তের কারণে বড় ধাক্কা খেয়েছেন। এবারের নিলামে তাকে ঘিরে দলগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তবে বোর্ডের নিষেধাজ্ঞার পর, কোনো দল তাকে কিনলেও বোলিং করানোর সুযোগ পাবে না। এতে তার মূল্য অনেকটাই কমে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সৃজিত কৃষ্ণন, কর্ণাটক দলের নিয়মিত সদস্য, যিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফর্ম করছিলেন, তাকেও একই অভিযোগে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা তার আইপিএল স্বপ্নের পথে বড় বাধা হিসেবে দেখা দিয়েছে।
এছাড়া সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের তালিকায় আরও তিনজনের নাম রয়েছে। তারা হলেন দীপক হুডা, সৌরভ দুবে এবং কেসি কারিয়াপ্পা। তবে তাদের বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বিসিসিআই জানিয়েছে, তারা এই তিনজনের ভিডিও ফুটেজ এবং ম্যাচ রিপোর্ট পর্যালোচনা করছে।
মণীশ পাণ্ডে কেকেআরের হয়ে একাধিক মৌসুমে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন। গত মৌসুমেও কলকাতার জার্সিতে তাকে দেখা গেছে, যেখানে তিনি কয়েকটি ম্যাচে ফিনিশারের ভূমিকা পালন করেন। তবে এবার কেকেআর তাকে ধরে রাখেনি। নিলামের আগে তার উপর এ নিষেধাজ্ঞা তার চাহিদা কমিয়ে দিতে পারে।
অন্যদিকে দীপক হুডা, যিনি লখনউ সুপার জায়ান্টসের হয়ে গত তিনটি মৌসুম খেলেছেন, তাকেও সন্দেহজনক তালিকায় রাখা হয়েছে। যদি তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসে, তাহলে তার আইপিএল ক্যারিয়ারও বিপদে পড়তে পারে।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে নিলামের গতিপথ অনেকটাই বদলে যেতে পারে। মণীশ বা দীপকের মতো অভিজ্ঞ এবং বহুমুখী ক্রিকেটারদের চাহিদা থাকলেও, বোর্ডের সিদ্ধান্ত তাদের সম্ভাবনাকে অনেকটাই কমিয়ে দেবে।
বিসিসিআইয়ের এই পদক্ষেপ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ বলছেন, এটি আইপিএলকে আরও স্বচ্ছ এবং প্রতিযোগিতামূলক করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আবার কেউ মনে করছেন, এই সিদ্ধান্তগুলো অনেক খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ারকেই অপ্রত্যাশিতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। নিলামের পর বোর্ডের সিদ্ধান্তগুলো কতটা প্রভাব ফেলবে, সেটি দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
এসআর
মন্তব্য করুন: