দীর্ঘ ছয় বছর পর জিম্বাবুয়ের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে যাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। তিন ম্যাচের এই সিরিজ শুরু হবে আগামীকাল বুলাওয়েতে, বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টায়। ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবার ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নামছে জিম্বাবুয়ে।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে সামনে রেখে এই সিরিজকে প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে দেখছে পাকিস্তান। দলের নতুন কোচ আকিব জাভেদ জানিয়েছেন, “আমাদের লক্ষ্য ওয়ানডে ফরম্যাটে শক্তিশালী দল হিসেবে গড়ে ওঠা। এই সিরিজে আমরা তরুণদের সুযোগ দেব এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য দলকে প্রস্তুত করব।”
পাকিস্তান সর্বশেষ ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল। সে সময় জিম্বাবুয়েকে ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছিল তারা। ২০২০ সালে নিজেদের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল পাকিস্তান।
জিম্বাবুয়ে কখনও পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিততে পারেনি। তবে তাদের সেরা পারফরম্যান্স ছিল ১৯৯৫ সালে, যখন তিন ম্যাচের সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ হয়। এবার নতুন ইতিহাস গড়তে চায় স্বাগতিকরা।
দলের অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন বলেন, “আমাদের বর্তমান দলটি ভারসাম্যপূর্ণ। তরুণ ও অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে পাকিস্তানকে হারানোর এটি দারুণ সুযোগ। আমরা সিরিজ জিতে ইতিহাস বদলাতে চাই।”
জিম্বাবুয়ে দলে প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছেন ট্রেভর গুয়ান্ডু, তাশিঙ্গা মুসেকিওয়া এবং টিনোতেন্ডা মাপোসা। ইনজুরি কাটিয়ে ওয়ানডে দলে ফিরেছেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার সিন উইলিয়ামস।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সদ্য শেষ হওয়া তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। ফলে দলটি জিম্বাবুয়ে সিরিজেও আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামছে।
দুই দল এখন পর্যন্ত ৬২টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে পাকিস্তান জিতেছে ৫৪টি, আর জিম্বাবুয়ে মাত্র ৫টি। ২টি ম্যাচ পরিত্যক্ত এবং ১টি টাই হয়েছিল।
পাকিস্তানের জন্য এটি কেবল একটি প্রস্তুতি সিরিজ নয়, বরং নতুনদের পারফরম্যান্স যাচাইয়ের সুযোগ। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ে এই সিরিজে নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণ করতে বদ্ধপরিকর। দর্শকদের প্রত্যাশা, প্রতিটি ম্যাচ হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং রোমাঞ্চকর।
দুই দলের স্কোয়াড :
পাকিস্তান: মোহাম্মদ রিজওয়ান (অধিনায়ক), আমের জামাল, আবদুল্লাহ শফিক, আবরার আহমেদ, আহমেদ দানিয়াল, ফয়সাল আকরাম, হারিস রউফ, হাসিবুল্লাহ, কামরান গুলাম, মোহাম্মদ হাসনাইন, ইরফান খান, সাইম আইয়ুব, সালমান আগা, শাহনেওয়াজ দাহানি, তৈয়ব তাহির।
জিম্বাবুয়ে: ক্রেইগ আরভিন (অধিনায়ক), ফারাজ আকরাম, ব্রায়ান বেনেট, জয়লর্ড গাম্বি, ট্রেভর গুয়ান্ডু, তাশিঙ্গা মুসেকিওয়া, টিনোতেন্ডা মাপোসা, ক্লাইভ মাদান্ডে, তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ব্র্যান্ডন মাভুতা, ব্লেসিং মুজারাবানি, ডিয়ন মায়ার্স, রিচার্ড এনগারাভা, সিকান্দার রাজা, সিন উইলিয়ামস।
এসআর
মন্তব্য করুন: