১) হাজেরা (আ.)-এর তাওয়াক্কুল আল্লাহর নির্দেশে ইবরাহিম (আ.)
তাকে ও শিশু ইসমাঈলকে নির্জন মরুভূমিতে রেখে যান।
পানি-খাবার শেষ হয়ে গেলে তিনি অসহায় হয়ে দু’টি পাহাড়—সাফা ও মারওয়া—র মাঝে বারবার দৌড়াতে থাকেন পানির সন্ধানে।
আল্লাহ তার এই তাওয়াক্কুলের প্রতিদান হিসেবে শিশু ইসমাঈলের গোড়ালি থেকে যমযম কূপ বের করে দেন।
হাজেরা (আ.)-এর সেই দৌড়ানো আজও হজ ও ওমরাহর সাঈ ইবাদত হিসেবে অমর রয়েছে।
২) মুসা (আ.)-এর তাওয়াক্কুল
ফেরাউনের নির্যাতন থেকে জাতিকে নিয়ে বের হলে সামনে লোহিত সাগর, পেছনে ফেরাউনের বাহিনী—চরম সংকট।
অনুসারীরা হতাশ হলেও মুসা (আ.) দৃঢ়ভাবে বলেন:
“আমার প্রভু আমার সঙ্গে আছেন; তিনি অবশ্যই পথ দেখাবেন।”
আল্লাহর নির্দেশে তিনি লাঠি দিয়ে সাগরে আঘাত করলে তা দ্বিখণ্ডিত হয়; বনি ইসরাইল পার হয় এবং ফেরাউন ডুবে যায়।
৩) তাওয়াক্কুলের সারমর্ম
আল্লাহর ওপর অটুট বিশ্বাস নবী-রাসুলদের মূল বৈশিষ্ট্য।
নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর উপাধি ছিল আল-মুতাওয়াক্কিল—যিনি সর্বদা আল্লাহর ওপর ভরসা করেন।
আল্লাহর নাম আল-ওয়াকিল—যিনি প্রত্যেক কাজে সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য অভিভাবক।
তাওয়াক্কুলের বাস্তব উদাহরণ হিসেবে হাজেরা (আ.) ও মুসা (আ.)-এর ঘটনাগুলো চিরন্তন শিক্ষা দেয়।
এসআর
মন্তব্য করুন: