ইসলামের দৃষ্টিতে জান্নাত মুমিনদের চূড়ান্ত আবাস। আল্লাহ তায়ালা
মানুষকে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন তাঁর নির্দেশ মানার পরীক্ষায় অংশ নিতে, আর সফলতার পর তাদের ফিরিয়ে নেবেন জান্নাতে। তাই জান্নাত অর্জনের জন্য দুনিয়ায় ঈমান ও আমলের শর্ত পূরণ অপরিহার্য।
হাদিসে বর্ণিত আছে—জান্নাতের দরজা প্রথম যে ব্যক্তির জন্য খোলা হবে তিনি হলেন নবী মুহাম্মদ (সা.)। সহিহ মুসলিমে এসেছে, কিয়ামতের দিন তিনি জান্নাতের গেটে উপস্থিত হয়ে অনুমতি চাইবেন এবং জান্নাতের খাজাঞ্চি তাকে জানাবেন যে, তার আগমনের অপেক্ষাতেই দরজা খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
আরেক বর্ণনায় হজরত ওমর (রা.) জানান, নবী (সা.) বলেছেন—তিনি প্রবেশ না করা পর্যন্ত জান্নাত সকল নবীর জন্যও নিষিদ্ধ থাকবে; আর তার উম্মত প্রবেশ না করা পর্যন্ত পূর্ববর্তী উম্মতগুলো অপেক্ষা করবে।
নারীদের মধ্যে প্রথম জান্নাত-প্রবেশকারী কে?
সহিহ হাদিসে নারীদের মধ্যে “অবশ্যই প্রথম” প্রবেশকারী কে—এ বিষয়ে সুস্পষ্ট, একক কোনো নির্ধারিত বক্তব্য পাওয়া যায় না। তবে নারীদের শ্রেষ্ঠত্ব এবং তাদের মর্যাদা নিয়ে বেশ কিছু প্রামাণ্য বর্ণনা আছে।
আব্বাস (রা.)-এর একটি হাদিসে রাসুল (সা.) চারজন নারীকে জান্নাতবাসীদের মধ্যে সবচেয়ে সম্মানিত হিসেবে উল্লেখ করেছে
খাদিজা (রা.)
ফাতিমা (রা.)
মারিয়াম বিনতে ইমরান
আসিয়া বিনতে মাজাহিম
অন্য বর্ণনায়ও এই চারজন নারীর জান্নাতে নেতৃত্বের কথা এসেছে।
কিছু হাদিসে সম্ভাব্য প্রথম নারী হিসেবে যাদের নাম পাওয়া যায়
বিভিন্ন রেওয়ায়েতে দু’টি মত পাওয়া যায়—
১. হজরত ফাতিমা (রা.) — কয়েকটি বর্ণনায় তিনি নারীদের মধ্যে প্রথম জান্নাতে প্রবেশকারী হিসেবে উল্লেখিত।
২. ধর্মপরায়ণ বিধবা নারী — মুসনাদে আবূ ইয়ালার এক হাদিসে এসেছে, নবী (সা.) বলেছেন তার পরে এক নারী প্রবেশে অগ্রসর হবে। তিনি বলবেন, নিজের সন্তানদের কারণে তিনি আর বিয়ে করেননি।
নবী মুহাম্মদ (সা.) সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবেন — এটি সহিহ ও নিশ্চিত বর্ণনা।
নারীদের মধ্যে নিশ্চিতভাবে “একজন নির্দিষ্ট” নাম সহিহ সূত্রে নির্ধারিত নয়।
তবে চারজন নারী (খাদিজা, ফাতিমা, মারিয়াম, আসিয়া) জান্নাতের শ্রেষ্ঠ নারীদের অন্তর্ভুক্ত।
কিছু বর্ণনায় ফাতিমা (রা.) অথবা আত্মত্যাগী বিধবা নারীকে প্রথম প্রবেশকারীদের মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: