[email protected] বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

তওবা করলে কি হারাম সম্পদ হালাল হয়ে যাবে?

প্রতিদিনের বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ২ ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:০৩ পিএম

অনেক সময় মানুষ জেনে বা না জেনে হারাম উপায়ে আয় করে

ফেলেন। পরে যখন নিজের ভুলটি উপলব্ধি করেন, তখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে—এখন কী করবেন? তওবা করলেই কি এই সম্পদ হালাল হয়ে যাবে, নাকি এর জন্য বিশেষ কোনো করণীয় আছে?

ইসলামের দৃষ্টিতে, হারামভাবে উপার্জিত সম্পদকে হালাল করার প্রথম শর্ত হলো সেটি যার অধিকার, তার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া। যেমন—যৌতুক, সুদ, ঘুষ বা কারও প্রতি অবিচার করে নেওয়া অর্থ—এসব অবশ্যই প্রকৃত মালিককে ফেরত দিতে হবে। মালিককে না ফেরত দিয়ে শুধু তওবা করলেই সেই অর্থ হালাল হয়ে যায় না; বরং গুনাহ থেকেও পুরোপুরি মুক্তি পাওয়া যায় না।

যদি এমন পরিস্থিতি হয় যে মালিককে খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয় বা ফেরত দেওয়ার কোনো উপায় আর নেই, তবে সেই অর্থ নিজের কাছে রাখা যাবে না। সওয়াবের উদ্দেশ্য ছাড়া—অর্থাৎ শুধুই দায়িত্বমুক্ত হওয়ার উদ্দেশ্যে—দরিদ্রদের মাঝে দান করে দিতে হবে। কারণ এই সম্পদের প্রকৃত মালিক আপনি নন, তাই দানের সময় সওয়াব লাভের নিয়ত করাও বৈধ নয়।

 

 হালাল উপার্জনের গুরুত্ব

ইসলাম রোজগারের ক্ষেত্রে হালাল–হারামের প্রতি অত্যন্ত সতর্ক করেছে। হারাম আয় জীবনের বরকত নষ্ট করে দেয়। যে ব্যক্তি হারাম উপায়ে উপার্জন করে তার খাদ্য, পোশাক, জীবনযাপন সবই নাজায়েজ উপার্জনের ওপর দাঁড়িয়ে যায়, ফলে সে আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হয়। বিপুল সম্পদ থাকা সত্ত্বেও তার জীবনে প্রকৃত শান্তি থাকে না।

অন্যদিকে, হালাল রোজগারে রয়েছে অসীম বরকত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
“যে ব্যক্তি বৈধ পথে আয় করে, আল্লাহ তার রিজিকে বরকত দেন।” (মুসলিম, হাদিস ২৩১১)

হালাল রিজিকের অনুসন্ধান ইসলামের দৃষ্টিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাসূল ﷺ আরও বলেন:
“ফরজ ইবাদতের পাশাপাশি হালাল উপার্জনের ব্যবস্থা করাও একটি ফরজ।” (বায়হাকী, হাদিস ৪৬০)

এছাড়া নিজের হাতে উপার্জনের মধ্যেও রয়েছে বিশেষ সওয়াব। নবী ﷺ বলেছেন:
“মানুষ যে খাদ্য নিজ হাতে উপার্জন করে খায়, তার চেয়ে উত্তম খাবার আর নেই।” তিনি উল্লেখ করেন যে নবী দাউদ (আ.) নিজ হাতে রুজি অর্জন করতেন। (বুখারি, হাদিস ২০৭২)

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর